সোমবার- ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাহজাদপুরে এমপি চয়ন ইসলামের যমুনা নদীর ভাঙ্গণ এলাকা পরিদর্শন

শাহজাদপুরে এমপি চয়ন ইসলামের যমুনা নদীর ভাঙ্গণ এলাকা পরিদর্শন

ফারুক হাসান কাহার, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি, জালালপুর ও কৈজুরি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে হাট পাচিল পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অসময়ে যমুনা নদীর ব্যাপক ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। গত ২ মাসের ভাঙ্গণে এ এলাকার ৭টি গ্রামের অন্তত ২ শতাধিক বাড়িঘর ও ৩০০ বিঘা জমি ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। গ্রাম গুলি হল, ব্রাহ্মণগ্রাম, আরকান্দি, পাড়ামোহনপুর, জালালপুর, পাকুরতলা, সৈয়দপুর, হাটপাচিল। এরমধ্যে বিলিন হয়ে গেছে ঘাটাবাড়ি, বাঐখোলা, দাদপুর, কুচিয়ামারা, সোন্তষা, কোচগাঁও ও ভেকা গ্রাম।

এই ভাঙ্গণরোধে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ বছর আগে তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজনের ধীরগতিতে কাজ চলতে থাকায় গত ৩ বছরে কিছু সংখ্যক সিসি ব্লক তৈরী ছাড়া কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে বছর বছর ভাঙ্গণের তান্ডবে এলাকার হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে এলাকাবাসিকে উত্তোরনের জন্য সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে এই ভাঙ্গণ কবলিত ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে হাট পাচিল পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি এনায়েতপুর বেড়িবাঁধ থেকে ইঞ্জিন চালিত শ্যালো নৌকা যোগে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন ও ভাঙ্গণে নিঃস্ব অসহায় মানুষদের খোজ খবর নেন। এ সময় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে হাট পাচিলের আগ পর্যন্ত সিসি ব্লক স্থাপন করে তীরসংরক্ষণ কাজ শেষ করবে। বাকি অংশের ভাঙ্গণরোধে এ বছর ১০ হাজার জিওটেক্স টিউব ব্যাগ ফেলা হবে। পরবর্তী বছররে বাকি অংশের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ কাজ শেষ হলে এখনে আর ভাঙ্গণ থাকবে না। তিনি বলেন , আর যাতে আমার এলাকার এক ছটাক মাটিও না ভাঙ্গে আমি সে লক্ষ নিয়ে কাজ করছি। ইনশাহ আল্লাহ আগামীতে আর শাহজাদপুরে কোনো ভাঙ্গণ থাকবে না। আমি সেভাবেই এগুচ্ছি।

৬৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares