শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সিরাজগঞ্জের নলকা হেম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারীতার কারনে শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না

সিরাজগঞ্জের নলকা হেম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারীতার কারনে শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের নলকা হেম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের অযোগ্যতা অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারীতার কারনে দুই মাস ধরে শিক্ষক/ শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা বেতন উত্তোলন করতে পাচ্ছেন না। এতে শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। জানাযায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা হেম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার খাইরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত না এসে বিভিন্ন জায়গায় চাকুরীর তদবির বানিজ্য করে বেড়ান এবং সভাপতি তার মনোনীত ব্যক্তি না হওয়ায় শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের বেতন শিটে সে স্বাক্ষর না করার কারনে ওই প্রতিষ্ঠানের ২০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা বেতন উত্তোলন করতে পারছেন না। এতে তারা দুই মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন,খাইরুল ইসলাম মাদ্রাসার সহকারী সুপার পদে যোগদান করার পর থেকেই তিনি নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন এবং নিজে সুপার হওয়ার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে গ্রæপিং তৈরি করে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে আসছেন। তার এ ধরনের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক সুপার আল হাদী অন্য মাদ্রাসায় চলে যান। এই সুযোগে খাইরুল ইসলাম নিজে সুপার হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে সুপারের জন্য লবিং করতে থাকেন কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনে তার এ প্লান ভেস্তে যায়। পরে আবারও ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব নিতে চাইলে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে তার দ্ব›দ্ব তৈরি হয়। একপর্যায়ে খাইরুল ইসলাম তার মনোনীত ব্যক্তিকে সভাপতি, বানানোর জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন জায়গায় তদবির করতে থাকেন কিন্তু স্থানীয় এমপির ডিও লেটারে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড পূর্বের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিককেই সভাপতি করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটির অনুমোদন দেন কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার খাইরুল ইসলাম বোর্ডের সে সিদ্ধান্ত না মেনে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন শিটে স্বাক্ষর না করে তা আটকিয়ে রেখে ওই কমিটি বাতিল করার জন্য বিভিন্ন পায়তাঁরা করছেন। এবিষয়ে বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গত ২ অক্টোবর মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আমাকে সভাপতি করে একটি এডহক কমিটি অনুমোদন দিলে আমি ৪ অক্টোবর মাদ্রাসায় গিয়ে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে মিটিং করে বেতন শিটে স্বাক্ষর করে আসি কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সুপার বোর্ডের সিদ্ধান্ত না মেনে এই কমিটি বাতিল করার জন্য শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন শিটে স্বাক্ষর না করার কারনে শিক্ষক কর্মচারীরা দুই মাস ধরে বেতন উত্তোলন করতে পারছেন না। এটা খুবই দুঃখজনক ও অমানবিক। এজন্য তাকে তিনবার নোটিশ করা হলেও তিনি কোন তার জবাব দেননি। তবে ভারপ্রাপ্ত সুপার খাইরুল ইসলাম এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বোর্ড বে আইনীভাবে ওই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে যার কারনে ওই কমিটির দুই সদস্য ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছে এজন্য কমিটি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন উত্তোলন করতে পারছেন না। এবিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, এটা ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির বিষয় এখানে আমার কিছুই করণীয় নেই। এব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপার আমাকে ভূল বুঝিয়ে বেতন শিটে স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংকে জমা দেন পরে জানাতে পারি ওই প্রতিষ্ঠানে আবু বক্কার সিদ্দিককে সভাপতি করে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড একটি এডহক কমিটি অনুমোদন দেন। পরে ওই কমিটির দুই সদস্য পদত্যাগ করলে জটিলতা সৃষ্টি হয় এ কারনে বেতন উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তবে পরবর্তীতে বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares