শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সোনাইমুড়ীতে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর কর্মীর বিরুদ্ধে

সোনাইমুড়ীতে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর কর্মীর বিরুদ্ধে

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র পরাজিত প্রার্থীর এজেন্ট শাহেদুজ্জামান প্রকাশ পলাশ (৩৫) নামের কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে বিজয়ী আওয়মী লীগের এমপির মোরশদ আলমের কর্মির বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প‚র্ব মির্জানগর গ্রামে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। অজ্ঞাত দৃুবৃত্তরা  পলাশকে কপাল ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতকরে হত্যা করেছে। নিহত শাহেদুজ্জামান প্রকাশ পলাশ (৩৫) প‚র্ব মির্জানগর গ্রামের মোঃ জামাল উদ্দিনের ছেলে।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। তবে কে বা কারা শাহেদুজ্জামানকে খুন করেছেন, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

 বিত ৭জানুয়ারী অনূষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে (কাঁচি মার্কার) স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশ (বাফুক)সহসভাপতি ও নোয়াখালী জেলা  আওযামীলীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভ‚ঁইয়া মানিক সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, নিহত শাহেদুজ্জামান প্রকাশ পলাশ প‚র্ব মির্জানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার কাঁচি প্রতীকের পোলিং এজেন্ট ছিলেন । ভোটেরদিন ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট ও অবৈধ প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদ করে সে। এই নিয়ে স্থানীয় নৌকা প্রতীকের বিজয়ী মোরশেদ আলম এমপির সমর্থকরা শাহেদুজ্জামানকে নানা হুমকি দিয়ে আসছিলো। ওই ঘটনার জেরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে তাঁর ধারণা। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, তিনি গত ১০ বছর নোয়খালী-২ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কিংবা হত্যাকাÐ ঘটেনি। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে অপপ্রচারে নেমেছেন। তবে হত্যাকাÐের বিষয়টি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কর্মকর্তা মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, শাহেদুজ্জামান একসময়ে বিদেশে থাকতেন। দেশে আসার পর এলাকায় মাছ ও মুরগির খামার করেন। স্ত্রী নিয়ে তিনি শ্বশুর বাড়ীতে থাকতেন। দিনের বেলায় নিজের বাড়ীতে আসতেন এবং খামার দেখাশোনা করতেন। গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহেদুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মুঠোফোনে ভিডিও কলে সর্বশেষ কথা হয়েছিল। তবে কে বা কারা শাহেদুজ্জামানকে খুন করেছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি বখতিয়ার উদ্দিন।

তবে, নিহত শাহেদুজ্জামান সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন কি না, তা তিনি নিশ্চিত নন। তবে কে বা কারা এই হত্যাকাÐের সঙ্গে জড়িত, এ বিষয়ে তদন্ত শুরু শুরু করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১৩৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares