বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
<span class="entry-title-primary">নোয়াখালীর কবিরহাটে নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে স্বর্ণের দোকানে লুট</span> <span class="entry-subtitle">গ্রেপ্তার-৭,লন্ঠিত ৬০ ভরি স্বর্ণ ও ১৬০ ভরি রুপা উদ্ধার</span>

নোয়াখালীর কবিরহাটে নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে স্বর্ণের দোকানে লুট গ্রেপ্তার-৭,লন্ঠিত ৬০ ভরি স্বর্ণ ও ১৬০ ভরি রুপা উদ্ধার

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী,নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকান লুটের ঘটনায় ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৭সদস্যকে গ্রেফতার ও লুন্ঠিত ৬০ ভরি স্বর্ণ এবং ১৬০ ভরি রুপা এবং স্বর্ণ বিক্রির ৩লাখ ৫০ হাজার টাকা,একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহীদুল ইসলাম। এর আগে, গত শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ভোরে কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারের মা-মনি জুয়েলার্স ও নুর জুয়েলার্সে ওই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছে। তবে লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের বাজারম‚ল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। তবে পুলিশের ভাষ্য দুটি দোকান থেকে সর্বমোট ৭২ ভরি স্বর্ণ লুট করে ডাকাত দল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে ,লক্ষীপুরের কমলনগর থানার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের মৃত শহীদুল্লাহর ছেলে মোঃ নোমান (৩৫) একই জেলার কমলনগর থানার চর মার্টিন ইউনিয়নের পশ্চিম চর মার্টিন গ্রামের মোরশেদ আলমের বাড়ির মোঃ মোরশেদ আলমের ছেলে মোঃ সুজন হোসেন (২৭), কমলনগর থানার হাজীরহাট ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির সুভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃঞ্চ কমল সরকার (৩২), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নের জগজীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন (৩২), একই উপজেলার বজরা ইউনিয়নের মুসলিম গ্রামের হাজী বাড়ির মোঃ সোলেমানের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ জিতু (৩০), বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার মুন্সি বাড়ির মৃত অলি উল্যার ছেলে সালাউদ্দিন (৩২),কবিরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের জৈনদপুর গ্রামের মোশারফ বিএসসির বাড়ির মৃত মোঃ শহীদুল্লাহর ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান প্রকাশ রনি (৩৬)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন,গত শুক্রবার ভোর থেকে ৪টার মধ্যে ১০-১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে প্রবেশ করেন। ওই সময় অস্ত্রের মুখে নৈশ প্রহরীসহ অন্যান্য চলাচলকারী লোকজনকে ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর প্রায় দুই ঘন্টা ডাকাতি সংঘটন করে। এ সময় ডাকাত দলকে বাধা দিলে নৈশ প্রহরী শহীদুল্লাহকে মাথায় আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এরপর হত্যা সহ ডাকাতির ঘটনায় কবিরহাট থানায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী একই দিন রাতে সাড়ে ১১টার দিকে বাদী হয়ে পেনাল কোর্ড ৩৯৬ ধারায় একটি মামলা রুজু করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে ডাকাতদের বহনকারী পিকআপ চালক নোমান লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানা এলাকায় লুন্ঠিত মালামাল বিক্রয়ের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশ নোমানের অবস্থান চিহিৃত করে কমলনগর থানার মুন্সিরহাট এলাকা থেকে গতকাল রোববার ১০ ডিসেম্বের নোমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার ভাষ্যমতে জানা যায়, তার প‚র্বে সে এলাকার পরিচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ সুজনের কাছে মালামাল বিক্রি করার জন্য দেয়। মালামাল উদ্ধার করার জন্য সুজনকে তার বাড়িতে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুজন লুন্ঠিত মালামাল গ্রহণ এবং বিক্রয় করতে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করেন। সুজন জানায়, লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার কমলনগর থানার চরলরেন্স বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী কৃঞ্চ কমলের কাছে বিক্রি করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ৬০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয় এবং ১৬০ ভরি রুপা সুজনের থেকে উদ্ধার করা হয়। ম‚লত এই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ম‚ল পরিকল্পনাকারী মোঃ শাহাদাত।

৮৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares