শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে বিসিআইসির সার ডিলার বাবুর বিরুদ্ধে বাড়তি দামে সার বিক্রির অভিযোগ 

তানোরে বিসিআইসির সার ডিলার বাবুর বিরুদ্ধে বাড়তি দামে সার বিক্রির অভিযোগ 

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে কৃষকের কাছে বাড়িতে দামে পটাশ সার বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ টি উঠেছে, তানোর পৌর সদরের বিসিআইসির সার ডিলার আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী বাবুর বিরুদ্ধে। কৃষকদের অভিযোগ,ডিলার মোহাম্মদ আলী বাবু কৃষকদের কাছে এক বস্তা পটাশ সার বিক্রি করছেন ১২শ থেকে ১৪ টাকা করে। অবশ্য সরকার নির্ধারিত ১হাজার টাকা বস্তার দামে মেমো করলেও বস্তা প্রতি ২শ থেকে ৪শ টাকা করে বেশি নিচ্ছেন সার ডিলার মোহাম্মদ আলী বাবু। সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা জুড়ে একমাত্র পৌর সদরের বিসিআইসির ডিলার ও উপজেলা বিসিআইসির সার ডিলার সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবু সকল ডিলারদের জিম্মি করে নিজের ইচ্ছে মতো সার ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এতে করে কোন ডিলার যদি বেশি দামে সার পটাশ বিক্রি করতে না চায় তাহলে কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ করে সেইসব ডিলারদের বরাদ্দ কম করে দেয়া হয়। ফলে বাধ্য হয়ে বিসিআইসির ডিলার সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবুর সিন্ডিকেটে বিক্রি করতে হয় সার পটাশ।  এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, তানোর পৌর সদরে বাবুর ডিলার পয়েন্ট করার নির্দেশ থাকলেও সেই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাবু তার তালন্দ বাজারে বাড়ির কাছে ডিলার পয়েন্ট করে সার বিক্রি করায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের। এমনকি এক বস্তা সার কিনতে কালিগঞ্জ থেকে ১০০টাকা খরচ করে আসতে হয় বাবুর ডিলার পয়েন্টে। তার পরেও সময়মত মিলে না সার পটাশ। অথচ কৃষকের সুবিধার জন্য বাবুকে তার ডিলার পয়েন্ট তানোর গোল্লাপাড়া বাজারের আসেপাশে করার নির্দেশ দেয়া আছে। কিন্তু বাবু সরকার দলীয় নেতা পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক তালন্দ বাজারে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বালাইনাশক ব্যবসায়ী জানান,কৃষক তো দূরের কথা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পটাশ সার দিতে বস্তা প্রতি ২শ টাকা করে বাড়তি দিতে হচ্ছে। তা নাহলে সাব কথা তার কাছে সার পটাশ নাই বলে দায় সারছেন বাবু। তানোর পৌর সদরের বিসিআইসির সার ডিলার ও উপজেলা বিসিআইসির সার ডিলার সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন,এবার সারের বরাদ্দ কম,তাই বাহিরে থেকে বেশি দামে সার পটাশ কিনে এনে একটু বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যা কৃষি অফিসারের অনুমতি নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে দম্ভোক্তি দেখান। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন,বাড়তি দামে বিক্রি করুক আর কম দামে বিক্রি করুক সমস্যা নাই। কৃষকরা সার পাচ্ছে কি না সেটাই বড় ব্যাপার বলে তিনিও দায় সারেন।
২০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS