শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ইলশামাড়ী গ্রামে চোর সন্দেহে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যাকে হত্যা 

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ইলশামাড়ী গ্রামে চোর সন্দেহে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যাকে হত্যা 

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী থেকে:  এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায় গতকাল গভীর রাতে ইলশা মাড়ী গ্রামে চোর সন্দেহ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়  চঞ্চল নামক এক যুবক কে।
নিহত যুবক সাড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া এলাকার মোঃ জাহিদুল ইসলামের পুত্র ।(শনিবার দিবাগত) রাতে চঞ্চলসহ ৪ জন ঘোরাফেরা করছিল। এ  সময় সন্দেহজনক ভাবে ইলশা মাড়ী গ্রামের মোঃ সাদেক আলীর পুত্র মোঃ ছোরহাব হোসেন শিহাব বলেন দোকানে চুরি করতে এসেছিল চঞ্চলসহ চারজন ।  এ সময়  আমার বাবা চঞ্চল কে ধাওয়া করে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এক পর্যায়ে আত্বচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। শিহাবের দোকানের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে বেদরক পিটানোর হয়। এক পর্যায়ে একই ওয়ার্ডের মেম্বার কে ফোন করে শিহাবের পরিবার  মেম্বারকে   ঘটনাটি জানান ।এসময় উক্ত ঘটনার স্হলে মেম্বার  নাগিয়ে  ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার বিজলী ও তার স্বামী কে ঘটনা স্হলে পাঠান।তখন রাত বাজে আনুমানিক ২টা সময়। বিজলী ও তার স্বামী অটোরিকশায় করে  ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান বলে জানান শিহাব সহ এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সাঁড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রাতে পেটানোর পর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসলে আমি পরিষদ চত্বরে ঢুকতে বাধা দেই। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেই। এখন শুনছি ওই ছেলে মারা গেছে। তিনি আরো জানান, পরে আবারও তাকে মারপিট করা হয়েছে বলে চঞ্চলের আত্মিয়দের কাছে শুনেছি। দুপুর ১টা ৫০মিনিটের দিকে চঞ্চলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার অফিসার্স ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
তবে নিহতের বাবা জহিরুল ইসলাম  সাথে কথা বললে তিনি বলেন  ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমার ছেলেকে ভ্যানের উপরে তুলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় আমার সন্তান কে । কিন্তু থানায় আমার ছেলেকে রাখেন নাই পরে রেলগেট থেকে আমাকে একজন ফোন করেন তোমার ছেলে রেলগেট পড়ে আছে। আমি গিয়ে অঙ্গান অবস্হায় দেখতে পাই। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার মুত্য বলে ঘোষনা করেন।
তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অনেকেই জানিয়েছেন#
৫৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares