শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আক্কেলপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আক্কেলপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক গৃহবধূকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। রাত থেকে অভিযুক্ত ওই বাড়িতেই আটক অবস্থায় থাকার পরের দিন সকালে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি আক্কেলপুর পৌর এলাকার রাজকান্দা গ্রামে ঘটেছে।

অভিযুক্ত মেহেদী (৩০) আক্কেলপুর পৌর এলাকার শান্তা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মেহেদী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। ধর্ষণ চেষ্টার স্বীকার ওই গৃহবধূ রাজকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয় অভিযুক্ত মেহেদী এবং ওই গৃহবধূ। আটকের পর রাতেই ঘটনাস্থলে যায় একাধিক স্থানীয় মাতব্বররা। পরের দিন বুধবার সকালে ঘটনাটি মীমাংশার জন্য সারা রাত ওই বাড়িতেই আটক রাখা হয় মেহেদীকে। তবে বুধবার সকালে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মেহেদী। অভিযুক্ত মেহেদী পেশায় রাজমিস্ত্রী হওয়ায় ওই গৃহবধূর বাড়ি নির্মাণের শুরু থেকেই ওই বাড়িতে রাজমিস্ত্রি হিসাবে কাজ করে আসছিল। ওই গৃহবধূ দাবী করেন ওই বাড়িতেই কাজ শেষে গোপনে অবস্থান করে রাতে তাকে জোড় পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। তবে গ্রামবাসী জানায় ভিন্ন কথা।

একাধিক গ্রামবাসী জানায়, রাতে তাদের বিবস্ত্র আবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি অনেকেই ভিডিও করে রেখেছে। ওই এলাকার স্থানীয় কামরুল মাস্টার (ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের স্বামী) সহ আনেক মাতব্বর ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। বুধবার সকালে মেহেদীর এলাকার জনপ্রতিনিধি আসলে মেহেদী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

ধর্ষণ চেষ্টার স্বীকার ওই গৃহবধূ বলেন, ‘মেহেদী কাজ শেষ করে বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল। রাতে আমি বাহিরে গেলে সে আমাকে জোড় পূর্বক চেপে ধরেছে। আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদের আটকে রাখে। তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিলনা। কেউ কোন ভিডিও দেখাতে পারবেনা। আমি চাই তার শাস্তি হোক’।

অভিযুক্ত মেহেদী হাসান জানায়, ‘ওই গৃহবধূর বাড়িতে কাজ শেষে চলে আসার পরে ফোনে তাকে (মেহেদী) বাড়িতে ডাকে গৃহবধূ নিজেই। যাওয়ার পরে তারা আমাকে আটকে রাখে। তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিলনা। সে (গৃহবধূ) বিভিন্ন সময়ে আমাকে ফোনে ফোন দেয়। আমাকে ফাসানো হয়েছে। আমি ওই বাড়িতে লুকিয়ে ছিলাম না। অনেকে এসে আমার কাছে টাকা চাওয়ায় আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসেছি’।

সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের স্বামী কামরুল মাস্টারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘ধরা পড়লে লোকজন তো আটকিয়ে রাখবেই। মেয়রের সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেন’।

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফাজ উদ্দীন মন্ডল জানান, ‘ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যায়নি’।

মেহেদীর এলাকার কাউন্সিলর মেজবাউল সরদার জানায়, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এসময় ওই বাড়ির বাহিরে গ্রামবাসীদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই ফাঁকে মেহেদী পালিয়ে যায়। এ কারণে আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি’।

আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। এ ঘটনায় থানায় এখনও কোন অভিযোগ হয়নি’।

৫৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares