শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাহজাদপুরে একদিকে যমুনার ভাঙ্গন, অন্যদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ 

শাহজাদপুরে একদিকে যমুনার ভাঙ্গন, অন্যদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন দিশেহারা নদীপাড়ের মানুষ 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ; সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে  একদিকে যমুনার ভাঙন, অন্যদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীপাড়ের মানুষজন দিশেহারা হয়ে পড়েছে শাহজাদপুরে যমুনা নদীতে  সরকারিভাবে কোন বালু মহাল বা  ইজারা না থাকলেও  তবু দেদাচ্ছে ৩টি ড্রেজার দিয়ে দিনরাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । এতে নদীর তীরে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। বালু উত্তোলনের ফলে গত কয়েক দিনে শাহজাদপুরের বেনুটিয়া, কাশিপুর, ব্রাহ্মনগ্রাম, আরকান্দি, বাঐখোলা এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন।
ভাঙ্গনের মুখে অনেকে  অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে  তাদের বসত বাড়িঘর। (২৮ মে), রোববার সরেজমিনে গিয়ে  দেখা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীরবর্তী বেনুটিয়া ও কাশিপুর গ্রামে অনামিকা, তায়িম ও আন্নাফী লোড ড্রেজার বসিয়ে ভাল্কহেডের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব বালু প্রায় ২০টি ভাল্কহেডের মাধ্যমে  চলে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ, আরিচা, চাঁদপুরসহ  বিভিন্ন পয়েন্টে। তবে অবৈধভাবে বালু  উত্তোলন ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশে ২টি বাংলা ড্রেজার দিয়ে পাইপের সাহায্যে নদীর তীরে বালু স্তুপ করা হচ্ছে। তবে এবিষয়ে কাশিপুর ও বেনুটিয়া গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে চলতি মাসের গত ২২মে  সাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর  একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগের কপি ভূমি মন্ত্রণালয়,পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীতে সরকারীভাবে কোন বালুমহাল ইজারা না হওয়া স্বত্বেও কিছু চিহ্নিত বালু দস্যূ মান্নান, হিরক, নাসির, সবুজ, সজীব ও আনিস ড্রেজার বসিয়ে ভাল্কহেডের মাধ্যমে দিনে ও রাতে বেনুটিয়া ও কাশিপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।  নৌপুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা স্বত্ত্বেও বালুখেকোরা তা কর্ণপাত না করে  বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বেনুটিয়া ও কাশিপুর গ্রামের ফসলী জমি, বসতবাড়ী, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, পাকা রাস্তাসহ  সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলমান থাকলে এলাকাবাসী সর্বশান্ত হয়ে পথে বসিবে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল নৌপুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে নৌ পুলিশ পাঠিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
শাহজাদপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমান বলেন, শাহজাদপুরের যমুনা নদীতে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। অভিযোগের আলোকে বেনুটিয়া ও কাশিপুরে পরিদর্শন করেছি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের জন্য বালু উত্তোলন হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেন। এব্যাপারে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, কাগজপত্র না থাকলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু উত্তোলন করতে পারবে না। বিষয়টি আমি দেখবো।
৩৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares