বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জমিজমা বিরোধের জের সাঁথিয়ায় ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত,আহত-১৫

জমিজমা বিরোধের জের সাঁথিয়ায় ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত,আহত-১৫

সাঁথিয়া (পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় জমিজমা বিরোধের জের ধরে ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আব্দুল আওয়াল (৫০)নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের সেলন্দা গ্রামে বাধার বিলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আওয়াল সেলন্দা গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে। আহতদের সাঁথিয়া,পাবনা সদর হাসপাতাল এবং পাশর্^বর্তী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাধার বিলের জমি নিয়ে সেলন্দা গ্রামের আমজাদ আলী গংদের সাথে একই গ্রামের মুজিবর রহমান গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ জমি নিয়ে গ্রামের প্রধানরা ইতোপূর্বে শালিশও করেছেন। ওই জমিতে চলতি মৌসুমে ধান রোপন করেন মুজিবর রহমান গং। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিরোধপূর্ন জমিতে ধান কাটতে যান আমজাদ আলী ও তার লোকজন। এতে বাধা দেন মুজিবর রহমান ও তার লোকজন। এ সময় কথা কাটাকাটি থেকে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে টেঁটা ও ফালার আঘাতে মুজিবর পক্ষের আব্দুল আওয়াল ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহতরা হলেন-মুজিবর রহমান পক্ষের মুজিবর রহমান(৬০), মিঠু হোসেন (৪০), মিরাজুল ইসলাম (২৮), সিরাজুল ইসলাম (২৫), হাসিদুল ইসলাম (৩০), হিটু প্রামানিক (২৮), লাল চাঁদ (২৫), মনিরুল ইসলাম (২৫), আশিক হোসেন (১৫),হাসিনা খাতুন (৫০), আমজাদ পক্ষের জুলহাস প্রামানিক (৩৮), লিটন হোসেন (৩২) ও বাবলু হোসেন (৩০)সহ অন্তত ১৫জন। তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এ নিয়ে পূর্বে শালিশ দরবারও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সুরতাহল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। আর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলেও জানান ওসি।

৩৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares