![গোবিন্দগঞ্জে আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত ৪ পরিবারের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য,বস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান গোবিন্দগঞ্জে আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত ৪ পরিবারের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য,বস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2023/05/343957838_993243348715416_5.jpg)
গোবিন্দগঞ্জে আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত ৪ পরিবারের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য,বস্ত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৪ পরিবারের ৭টি ঘরের সম্পূর্ণ আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। এ ঘটনায় নগদ টাকাসহ আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে প্রায় দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। তবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঠিক কি ভাবে ঘটেছে সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারেনি। বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ী প্রদর্শন করেন এবং প্রত্যেকটি পরিবারকে নগদ ১০ (দশ) হাজার টাকা, ৩০ কেজি চাল, কম্বল, শাড়ি/ লুঙ্গি,কাঁচাবাজার, তেল, ডাল, চিনি, লবণ ইত্যাদি সহায়তা প্রদান করেন । এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, জিন্দার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রহমান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ইউপি সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সম্মানিত গ্রামবাসীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার (৩ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার তালুককানুপুর ইউপির উত্তরপাড়া প্রামে মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে শুকুর উদ্দিন চেংটু ও তার দুই ছেলে হেলাল, বেলাল এবং ভাতিজী বেগমের ৭টি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ৩টি ঘরে রক্ষিত নগদ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা, ২টি ফ্রিজ ও আসবাবপত্র সহ বসতঘর সম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা রাতে পাশের বাড়িতে ঝগড়া দেখতে ঘরে তালা দিয়ে সবাই সেখানে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে বসত ঘরে আগুনের কুন্ডলী দেখতে পায়। আগুন নিমিষেই ৭টি ঘরকে ছাই করে ফেলে। ওই ঘরগুলোতে একাধিক বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকায় প্রতিবেশিরা আগুন নেভাতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেনি। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট পৌঁছে ধ্বংসস্তুপের আগুন নিভিয়ে ফেলে।
অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ শেখ হোদা জানান, আমার পাশের বাড়ির শুকুর উদ্দিন, তার দুই ছেলে ও ভাতিজীর ৭টি ঘরের সবটাই আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। ঘর দেওয়া কংক্রিটের খুঁটি ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া চালের টিন ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। অত্যন্ত দরিদ্র ও অসহায় চারটি পরিবার নি:স্ব হয়ে গেল। পরিবার নিয়ে রাত কাটানোর কোনো উপায় নেই তাদের। উপস্থিত ব্যক্তিরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ছাড়া আগুন লাগার অন্য কারণগুলো নিশ্চিত করতে তদন্তের প্রয়োজন।