শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
<span class="entry-title-primary">সেনবাগে বিএনপি- আওয়ামীলীগ সংঘর্ষ ছাতারপাইয়া বাজার রণক্ষেত্র</span> <span class="entry-subtitle">সাবেক বিরোধীদলী চীফহুইপ সহ আহত ৩০, পুলিশের ৪০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ, মার্কেট ভাংচুর</span>

সেনবাগে বিএনপি- আওয়ামীলীগ সংঘর্ষ ছাতারপাইয়া বাজার রণক্ষেত্র সাবেক বিরোধীদলী চীফহুইপ সহ আহত ৩০, পুলিশের ৪০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ, মার্কেট ভাংচুর

জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী ,নোয়াখালী প্রতিনিধি :  নোয়াখালীর সেনবাগে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ছাতারপাইয়া, ছমির মুন্সির হাট ও ভূঁয়ার দিঘী রাস্তার মাথা এলাকায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে দফায় দফায় ধাওযা পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটন্য়া রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এবং ছাতারপাইয় বাজার থেকে ১বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে।

জানাগেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে শনিবার গ্যাস বিদ্যুৎ,জা¦ালানি তেল ,আটা সহ নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়া ও দলীয় নেতাকমীদের মুক্তিসহ ১০দফা দাবীতে বিকাল ৪টারদিকে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া পুর্ব বাজার থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবুল খায়েরের নেতৃত্বে সহা¯্রাধীক নেতাকর্মী পদযাত্রা শুরু করে বাজারের মধ্য বাজার ব্রিজের নিকট পৌছলে আওয়ামীলীগ নেতা সোহবার হোসেন সুমন, খুরশিদ আলম কন্টাক্টর,আবদুল আহাদ, আবদুল মমিন, রেজাউল করিম চৌধুরী ,আব্দুল হাই মেম্বার, নোয়াখালী জেলা যুবলীগের সদস্য জীবন চৌধুরী ছাতারপাইয়া ইউনিযন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয় সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা বাঁধা দেয়। এসময় উভয়ে একে অপরকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে পুরো বাজার রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ৪০ রাঊন্ড রাবার বুলেট রিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় ইটের আঘাতে আওয়ামীলীগের জামাল,মিলন, মাসুুদ, শাহআলম ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবুল খায়র সহ অন্তত ২০ আহত হয়।

এছাড়াও একইদিন দুপুর ৩টারদিকে উপজেলা ৭নং মোহাম্মদপুর ইউপির ভূঁইয়ার দিঘী রাস্তার মাথা এলাকায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে অপর একটি পদযাত্রা বের করার চেষ্ঠা করলে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বাঁধা প্রদান করে এবং হামলা চালিয়ে সাবেক বিরোধীদলীয় চীফহুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাফর খান, ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক ইসমাইল হোসেন পলাশ, সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্রদল নেতা নোমান ও আওয়ামীলী কর্মী আবদুল হকসহ অন্তত ১০ আহত হয়েছে।

এরপর ফারুক ওই স্থান থেকে নিজ গ্রাম ছমির মুন্সির হাট বাজারে জমজম টাওয়ারের সামনে এসে অপর পদযাত্রার অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় বাজারের পূর্বদিক থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জমজম টাওয়ার সংলগ্ন সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিকের মালিকানার্ধীন জাহাঙ্গীর কমপ্লেক্সেএর সামনে পৌছে। এরপর ওই মিছিল থেকে জমজম টাওয়ারের সামনে বিএনপির প্রতিবাদ সভা লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে বিএনপি কর্মীরা আওয়ামীলীগ কর্মীদের ধাওয়া করলে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আওযামীলীগের কিছু কর্মী জাহাঙ্গীর আলম কমপ্লেক্সে মার্কেটে আশ্রায় নিলে বিএনপি কর্মীরা জাহাঙ্গীর কমপ্লেক্সে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে মার্কেটের তৃতীয় তলার কয়েকটি কাঁচ ভেঙ্গে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিডি পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কোন প্রতিরোধ করেনী তারা।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চীফহুপ জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করে বলেন,প্রশাসনের পূর্ব অনুমতি নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকমীদের হামলা তিনি সহ ৮/১০ আহত হয়েছেন।

এব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক অভিযোগ করে বলেন বিনা উস্কানিতে বিএনপি নেতাকর্মী ছাতারপাইয়া ও ছমির মুন্সির হাটবাজারে তাদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যে বিরুদ্ধে বের করা বিক্ষোভ মিছিরে হামলা করে অন্তত ১০জন নেতাকর্মীকে আহত করে। এবং তার মালিকানাধীন মার্কেটে হামল্ াচালিয়ে ভাংচুর করে।

এব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ,ছাতারপাইযা বাজারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ৪০ রাউন্ড গুলি রিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাস্থলগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ টহল দিচ্ছে। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

১১২ বার ভিউ হয়েছে
0Shares