মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দক্ষিণ সুরমার সম্মুখ যুদ্ধ ও মুক্ত দিবস পালিত

দক্ষিণ সুরমার সম্মুখ যুদ্ধ ও মুক্ত দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার:দক্ষিণ সুরমার সম্মুখ যুদ্ধ ও মুক্ত দিবস পালিত পাক হানাদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দিত সুরমার জলে : বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক ‘‘১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমার সম্মুখ যুদ্ধ ও পাকহানাদার মুক্ত হয় কদমতলীসহ গোটা দক্ষিণ সুরমা। সারা দেশের মতো সিলেটের মুক্তিযোদ্ধারাও সম্মুখ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সময় দক্ষিণ সুরমার কদমতলীস্থ পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের বিপরীতে ছিল পাক হানাদার বাহিনীর সেনাদের ক্যাম্প। মেজর সরফরাজ, মেজর বশারত, হাবিলদার মোস্তাকের নেতৃত্বে ২০০-২৫০ জন হানাদার বাহিনী সেখানে অবস্থান করত। তাদের সাথে যোগ হয় ১৫-২০ জন রাজাকার। যাদের সকলের বসত ছিল দক্ষিণ সুরমা এলাকায়। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে একদিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক, অপরদিকে সিলেট-জকিগঞ্জ ও সুতারকান্দি সড়ক। এ দু’টি সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে ছিল বিরাট বটগাছ। বটগাছের নিচেই ছিল হানাদার বাহিনীর চেকপোস্ট। চেকপোস্টে নিয়মিত বাস যাত্রীদের নামিয়ে হয়রানি করা হত। দখলকার বাহিনীর লোকেরা যাত্রীদের অনেককে ধরে নিয়ে যেত সুরমা নদীর তীরে। তারপর গুলি করে হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দিত সুরমার জলে। কেউ তাদের না চেনায় এসব হতভাগাদের নাম শহীদদের তালিকায়ও ঠাঁই পায়নি’’

গত ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত দক্ষিণ সুরমার সম্মুখ যুদ্ধ ও মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ফাহাদ আহমদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মহসিন কামরান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তাঁতী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন, যুবলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন আখন্দ, সাধুরবাজার ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিন, কদমতলী ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিব তালুকদার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল আহমেদ, মুহিবুর রহমান, কদমতলী ইউনিট কমিটির সভাপতি মঈন উদ্দীন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রাকিব রানা, আনোয়ার হোসেন, ভার্থখলা ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান, ঝালপাড়া ইউনিট কমিটির সভাপতি আক্তার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আার্শাদ আহমেদ, সাধুরবাজার ইউনিট কমিটির সভাপতি আলাউদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস মিয়া প্রমুখ।

৩৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares