শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আলাদীনের চেরাগ তানোর পৌর সচিব সরদার জাহাঙ্গীর আলম  

আলাদীনের চেরাগ তানোর পৌর সচিব সরদার জাহাঙ্গীর আলম  

সারোয়ার হোসেন, তানোর: দিনের পর দিন মাসের পর মাস তানোর পৌরসভায় দেখা মিলেনা পৌরসভার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী (সচিব) সরদার জাহাঙ্গীর আলম। এমনকি তানোর পৌরসভায় প্রকৌশলী( সচিব) সরদার জাহাঙ্গীর আলমকে পাওয়া যেন ঠিক আলাদীনের চেরাগ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রকৌশলী (সচিব) সরদার জাহাঙ্গীর আলম অফিস না করলেও তার গাড়ির তেল বেতন ভাতা ঠিকই দিতে হয় পৌর কৃর্তপক্ষকে।
অথচ যেখানে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে হিমশিম খেতে হয় পৌর কৃর্তপক্ষকে সেখানে প্রকৌশলী(সচিব) সরদার জাহাঙ্গীর আলমের প্রাইভেট কার গাড়ি নিয়ে অফিসে যাতায়াত বিলাসিতা করা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজ করছে। তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভায় প্রকৌশলী(সচিব) মাসে দু’একবার অফিস করেন প্রাইভেট কার নিয়ে। অফিসে গাড়ি নিয়ে এসে সই সাক্ষর করে আবার অফিস ত্যাগ করেন তিনি। সে কখন অফিসে আসে আর যায় তাও কারো চোখে পড়ে না।
জানা গেছে, সরদার জাহাঙ্গীর আলম মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর(সচিব)এর দায়িত্বে হয়েছেন। এতে করে তানোর পৌরসভায় সচিব না থাকায় অতিরিক্ত প্রকৌশলী(সচিব) হিসেবে সরদার জাহাঙ্গীর আলমকে তানোর পৌরসভায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যার ফলে ইচ্ছেমত তানোর পৌরসভায় অফিস করায় ব্যহত হচ্ছে পৌরসভার কর্যক্রম। তানোর পৌরসভার বেশকিছু স্টাফ জানান,পৌরসভায় নিয়োগ প্রাপ্ত প্রকৌশলী(সচিব) না থাকায় অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কেশরহাট পৌরসভা থেকে তানোর পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। যাজ জন্য প্রকৌশলী(সচিব)সরদার জাহাঙ্গীর আলম তার ইচ্ছেমত অফিস করেন তানোর পৌরসভায়।
এবিষয়ে তানোর পৌরসভার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলী( সচিব) সরদার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি কেশরহাট পৌরসভায় সহকারী প্রকৌশলী(সচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।তানোর পৌরসভায় প্রকৌশলী(সচিব) না থাকায় সেখানে অতিরিক্ত প্রকৌশলী(সচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আর প্রাইভেট কার আমার ব্যক্তিগত তাই গাড়ি নিয়ে অফিসে যাতায়াত করি আমি। এতে কার সমস্যা হলো না হলো সেটা আমার দেখার বিষয় না বলে দম্ভোক্তি দেখান তিনি।
তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুল হক বলেন, তানোর পৌরসভায় প্রকৌশলী(সচিব) নিয়োগ দেওয়া হয়নি, সেজন্য ভাড়া করে কেশরহাট পৌরসভা থেকে প্রকৌশলী(সচিব) এনে অফিসের কর্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভায় প্রকৌশলী(সচিব) কি প্রাইভেট কার গাড়ি নিয়ে অফিস করতে পারে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবিষয়ে আমার কোনকিছু করনীয় নাই বলে জানান।
১১১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares