শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে জোর করে অন্যের বাশঝাড় নিধনের অভিযোগ

তানোরে জোর করে অন্যের বাশঝাড় নিধনের অভিযোগ

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে অন্যের বাশঝাড় নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন(ইউপির) চকপ্রভুরাম গ্রামে ঘটে রয়েছে বাশঝাড় নিধনের ঘটনাটি। এঘটনায় চকপ্রভুরাম গ্রামের মৃত ছলিমুদ্দিনের পুত্র আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে গত সোমবার একই গ্রামের মৃত ওহেদ আলীর পুত্র হাবিবুর রহমানসহ ৩ জনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ফলে ঘটনাটি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ীর মত সংঘর্ষ বলেও আশংকা গ্রাম বাসীদের।
১৮ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, কামারগাঁ ইউপির চকপ্রভুরাম গ্রামের রাস্তার পশ্চিমে রয়েছে বাশঝাড়। আর পূর্বদিকে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের বাড়ি। কয়েকজন শ্রমিক বাঁশ কেটে মোটা চাকার অটো ভুটভুটিতে তুলে বেধে রেখেছেন এবং অনেক বাঁশ কাটা রয়েছে। সেখানেই বসে ছিলেন হাবিবুর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এটা হাকিম দের বাঁশঝার আপনি কিভাবে কাটছেন তিনি জানান, বাব দাদারা জমি বিনিময় করেছেন। ০৩ শতাংশ জমি বিনিময় হয়েছে। কিন্তু খতিয়ানে তাদের পক্ষের ৩ শতাংশ লিখা থাকলে আমাদের পক্ষে কোন পরিমান ছিল না। কারন হাকিমরা যেখানে বসবাস করেন সেখানে আরো ৩ শতাংশ বাড়তি জমি দখল করছেন। একারনে বাঁশঝাড়ে যে দাগে বিনিময় হয়েছে ওই দাগে ৮ শতাংশ জমি আছে। তারা ওইসব দখল করছেন, আমরা এসব দখল করছি এবং খারিজ খাজনা চলমান রয়েছে।
অভিযোগকারী হাকিমসহ বেশকিছু ব্যক্তিরা জানান, বিনিময় হয়েছে ৩ শতাংশের। আর হাবিবুর জাল দলিল করে খাজনা খারিজ করে নিয়েছেন। এসব নিয়ে কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একাধিকবার নোটিশ করেও সে হাজির হয় না। গ্রামেও বসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ সবাই। তার খারিজ খাজনা আছে এজন্য কাউকে মানেন না। কামারগাঁ তহসিল অফিসে খারিজ বাতিলের আবেদন করা হয়েছে, সেই প্রতিবেদন ভূমি অফিসে পাঠিয়েছে তহসীল দার। প্রতিবেদনে খারিজ সংশোধনের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে সংশোধনী হবে।
অভিযোগে উল্লেখ, চলতি মাসের ১১ সেপ্টেম্বর তারিখে সকাল প্রায় ৭ টার দিকে চকপ্রভুরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত আরএস ১৩১ নম্বর খাতিয়ানের ২৮৬.২৮৭ও২৮৮ নম্বর আরএস দাগে রয়েছে বাশঝাড়, সেই বাঁশজাড় নিধন করা শুরু করেন হাবিবুরসহ ভাড়াটিয়ারা। বাধা দিতে গেলে গালমন্দ ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করা হয়।
অভিযুক্ত হাবিবুর জানান, গত সোমবারে থানা থেকে পুলিশ এসে সব কিছু দেখে গেছেন এবং কোন সমস্যাদি হলে আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares