শনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিরাজগঞ্জে এমপির নির্দেশে ছাত্রদল নেতাকে  আটকে রেখে চাঁদা দাবী

সিরাজগঞ্জে এমপির নির্দেশে ছাত্রদল নেতাকে  আটকে রেখে চাঁদা দাবী

১০ Views
 সিরাজগঞ্জ  প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফির নির্দেশে ছাত্রদল নেতা সুজন সরকার ও তার দুই ভাইকে থানায় ডেকে নিয়ে  আটকে  রেখে চাঁদা দাবি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠনো হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদল নেতা সুজন সরকারের ডান চোখে ধারালো ছুরি দিয়ে ঘা মেরে চোখ উপড়ে ফেলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এঅভিযোগ করেন উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ঝিকিড়া সাহা পাড়া মহল্লার সুমন সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে মো: সুমন সরকার বলেন, আমার ছোট ভাই সুজন সরকার জাতীয়বাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে উল্লাপাড়া পৌর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী। একারনে উল্লাপাড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লেবু, ঝিকিড়া মহল্লার আওয়ামীলীগকর্মী রেকোয়াত হোসেন রকেট ও সোয়েব আলী আমার ভাইকে নানান ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এরই এক পর্যায় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগকর্মী রেকোয়াত হোসেন রকেট ও সোয়েব আলীর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার বাবা সবুজ সরকার গুরুতর আহত হয়। এসময় আমার বাবাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে ছোট ভাই  সুজন সরকারকে ধারালো ছুরি দিয়ে  ডান চোখে ঘা মেরে চোখ উপড়ে ফেলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া আমাদের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় আমি (সুমন সরকার) বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে উল্লাপাড়া আমলী আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে গত ৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর থেকে আসামীরা আমাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়। উল্লাপাড়া আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি ও উল্লাপাড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লেবুর নির্দেশে উল্লাপাড়া থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম ও এসআই গোলজার হোসেন মামলার মিমাংসার কথা বলে আমাকে ও আমার দুই ভাই সুজন সরকার ও সংগ্রাম সরকারকে উল্লাপাড়া মডেল থানায় নিয়ে যায়। থানায় আমাদের আটকে রেখে মামলা প্রত্যাহরের জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং আমাদের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। টাকা দিতে না পারায় প্রায় ৩৬ ঘন্টা আমাদের থানায় আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে একটি মিথ্যা মামলায়  আমাদের তিন ভাইকে আসামী করে আদালতে প্রেরণ হয়। । সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, সুজন সরকার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে পরীক্ষা দিয়েছিল। সে রির্টান পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে। ভাইবা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষায় ছিলো। কিন্তু আমার ভাইয়ের উপর হামলা করে ধারালো ছুরি দিয়ে তার  ডান পাশের চোখে ঘা মেরে চোখ উপড়ে ফেলার কারনে এস.আই এর চাকুরী থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক থাকার কারনে আমার আরেক ছোট ভাই সংগ্রাম সরকার এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারেনি। পুরো বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রভাব বিস্তার করায় আমরা কোন প্রতিকার পাইনি। এবিষয়ে আমরা মামলা দায়ের করার উদ্যেগ নিয়েছি। আমরা এই অন্যায়ের বিচার চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুমন সরকারের বাবা সবুজ সরকার, দুই ভাই সুজন সরকার ও সংগ্রাম সরকার।
Share This

COMMENTS