শনিবার- ১৫ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১লা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কিশোরগঞ্জে ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজে লুটপাটের অভিযোগ পিআইও সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

কিশোরগঞ্জে ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজে লুটপাটের অভিযোগ পিআইও সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

কিশোরগঞ্জ থেকে ফিরে এসে সৈয়দপুর থেকে দুলাল সরকার : অতি হত দরিদ্র কর্মসংস্থান নিয়ে কিশোরগঞ্জে ৪০ দিনের কর্মসূচি (মাটিকাটা) কাজের মজুরির টাকা লুটপাট হওয়ার অভিযোগ মিলেছে। এ নিয়ে ওই ভ‚ক্তভোগী শ্রমিকরা নীলফামারী আদালতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার পিআইও সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগীরা হলেন, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিতাই ইউনিয়নের অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপি) এর উপকার ভোগী ৩৩ জন সদস্য। এদের মধ্য থেকে মামলার বাদী হয়েছেন লাজলী বেগম নামের এক নারী। মামলার অন্যান্য বিবাদীরা হলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সচিব, চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভুক্তভোগীদের স্থায়ী নিবাসী। গত ২০২০ – ২০২১ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপি) এর আত্ততায় মাটি কাটার কাজে ভূক্তভোগীরা নিয়োগপ্রাপ্ত হইয়া উপকার ভোগী হিসাবে কর্মসূচি মোতাবেক প্রকল্পের বিনামূল্যে জব কার্ড গ্রহণ করেন এবং কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা হিসাব খুলিয়া যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করিয়া নিয়ম অনুসারে কাজ করেছেন। উক্ত প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গত ৪ জানুয়ারী তারিখে অতি দরিদ্রের প্রকল্পের তালিকা হইতে উপকারভোগী ভুক্তভোগীদের নাম সরকারের কোন পরিপত্র প্রজ্ঞান ছাড়াই যথাপযুক্ত কারণ ব্যতিরেকে বাতিল করায় ভুক্তভোগীদের উপকার ভোগীর অধিকার হইতে বঞ্চিত করেছেন। এদিকে এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল তারিখে অন্য ৭২/২২ নং মোকদ্দমা দায়ের করিলে বিবাদী গণ অতি দরিদ্র কর্মসংস্থান (ইজিপি) প্রকল্প এর অধীনে ৪০ দিনের কর্মসূচি (মাটিকাটার) কাজে উক্ত হত দরিদ্র ভ‚ক্তভোগীদের কাজে পুনরায় যোগদানের আশ্বাষ প্রদান করিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ আবুল হাসনাত সরকার গত ২৪/০৩/২০২২ ইং তারিখে লিখিতভাবে ভুক্তভোগীদের যোগদানের জন্য বলিলে ভুক্তভোগীরা গত ২৬/০৪/২০২২ ইং তারিখে আপোষসূত্রে মোকদ্দমাটি প্রত্যাহার করিয়া নেন এবং গত ২৭/০৪/২০২২ ইং তারিখে উক্ত কাজে যোগদান করিয়া প্রায় ৫/৬দিন মাটিকাটা কাজ করার পর যোগসাজসী ভাবে ভুক্তভোগীদের ঠকানোর উদ্দেশ্যে উক্ত কাজে আসার জন্য বাধা প্রদান করেন এবং তালবাহানা শুরু করিয়া কালখ্যাপন করিয়া আসেন। সর্বশেষ ১৭/০৬/২০২২ ইং তারিখে ভুক্তভোগীরা উক্ত কাজের কথা বলিলে ভুক্তভোগীদের অশ্লীলভাষায় কথা বলেন। তাই ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে পুনরায় আদালতের আশ্রয় নেন। অপরদিকে ভুক্তভোগীরা বলেন, আমাদের মোবাইল সিম অভিনব কায়দায় নিয়ে আমাদের মাটিকাটা কাজে পারিশ্রমিক প্রায় ২০ লক্ষ টাকা তুলে তারা আত্মসাৎ করার চেষ্ঠা করেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসনাত সরকারের সাথে কথা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবু’র সাথে নীলফামারী চিত্রের প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন- ওই দূর্নীতিবাজ পিআইও এর কারণে এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।

১১৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares