মঙ্গলবার- ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব বিতর্কে প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল সাময়িক বরখাস্ত– জেল হাজতে সালাউদ্দীন

নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব বিতর্কে প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল সাময়িক বরখাস্ত– জেল হাজতে সালাউদ্দীন

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ হিজাব নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে এবার জেল হাজতে পাঠানো হলো নওগাঁর পোরশা উপজেলার সালাউদ্দীন আহম্মেদকে। এ সময় প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমকে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন আদালত। বুধবার নওগাঁ জেলা দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরীর আদালতে সালাউদ্দীন জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিনের আবেদন বাতিল করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নওগাঁর মহাদেবপুরের দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পালের করা মামলায় হাই কোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন সালাউদ্দীন আহম্মেদ। প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস না পরে আসায় শাসন করেন স্কুলটির সহকারী শিক্ষিকা আমোদিনী পাল যা পরে হিজাব বিতর্কে রুপ নেয়। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ৭টি সুনির্দিষ্ট কারণ ও সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল হিজাবের কারণে নয়; নির্ধারিত স্কুলড্রেস না পরার কারণেই শিক্ষার্থীদের মারধর করেছিলেন। একই দিনে বদিউল আলম নামে আরেক শিক্ষকও মারধর করেছিলেন শিক্ষার্থীদের। অথচ প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করেন। এই ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্য মূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া প্রতিবেদনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের প্রহার করায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও শিক্ষক বদিউল আলমের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। গুজব ছড়ানোর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ধরনী কান্ত, শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দীর্ঘদিনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব চলছিলো। যা গুজব ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় গুজব ছড়ানোর পেছনে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

৪৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares