বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রূপসায় চিংড়ির পঁচা মাথার গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ: প্রতিকার চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে এলাকাবাসীর অভিযোগ

রূপসায় চিংড়ির পঁচা মাথার গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ: প্রতিকার চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে এলাকাবাসীর অভিযোগ

রূপসা প্রতিনিধি: রূপসায় খোলা জায়গায় চিংড়ি মাছের পঁচা মাথার শুকানোর গন্ধে এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। অসহ্য দূর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে পত্রিকার রিপোর্টের কফি সহ এলাকার জনগণ গণস্বাক্ষর করে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে এখনও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী । উপজেলার জাবুসা ও বাগমারা-চররূপসা এলাকায় একদল অর্থলোভী মহল অবৈধ ভাবে পঁচা চিংড়ি মাছের মাথা শুকিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ নষ্ট করে আসছে। খুলনা রূপসা সেতুর সংলগ্ন কোস্টগার্ড ক্যাম্প এর পাশে বালির বেডের পেছনে জাবুসা গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান এবং বাগমারা-চররূপসা এলাকার সিগমা মাছ কোম্পানির পেছনে মোঃ শহিদুল ইসলাম এরা উভয়েই খোলা জায়গায় চিংড়ি মাছের পঁচা মাথা শুকিয়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে অত্র এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। এতে করে এলাকার লোকজন দুর্গন্ধ সহ্য করতে না’পেরে কষ্টদায়ক জীবনযাপন করছেন। অভিযোগকারীরা বলেন,আমরা ভুক্তভোগী এলাকাবাসী গত ০২/০৬/২২ ইং তারিখে বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর এই অবৈধ চিংড়ি মাছের মাথা শুকানোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ ও প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করার নিমিত্তে গণস্বাক্ষর করে পত্রিকার রিপোর্ট সহ অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের ভিত্তিতে পাল্টা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে গত ১৬/০৬/২২ ইং তারিখে মোঃ আবু সাঈদ, সহকারী পরিচালক মোবাইল নং ০১৯২০-৮৮২৮৭৭ সহ স্বাক্ষরিত নোটিশ প্রেরণ করেন। আমাদের বাদী বানিয়ে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিবাদী হিসেবে দুই পক্ষকে ২৩/০৬/২২ ইং সকাল ১০টায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।এই নোটিশে আরও উল্লেখ থাকে যে, উপরোক্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে আপনি/আপনার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫(সংশোধিত ২০১০) এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৯৭ অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সহকারী পরিচালক মোঃ আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত নোটিশ পেয়ে আমরা খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষ নির্দিষ্ট দিনে যথাসময়ে উপস্থিত হই। কিন্তু বিবাদী চতুর মোঃ মিজানুর রহমান অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে নিজে উপস্থিত না হয়ে প্রতিনিধি পাঠান। সেই থেকে অদ্যবধি সহকারী পরিচালক মোঃ আবু সাঈদের দেয়া স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কোন পদক্ষেপ আমাদের চোখে পড়ে নাই। তাছাড়া তিনি আমাদের জানান,দূর্গন্ধ যুক্ত এলাকায় পুনরায় এই ধরনের অপরাধ ঘটলে আপনারা আমাকে যথাসময়ে তথ্য দিলে আমরা দ্রæত অভিযান পরিচালনা করে দোষীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করবো। দুঃখের বিষয় এখনও আমরা এরও কোন প্রতিফলন পাইনি। এই গ্রামে প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা এই কোম্পানি থেকে স্বল্পমূল্যে মাছের মাথা ক্রয় করে বসতবাড়ীর সন্নিকটে খোলা জায়গায় পঁচিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ নষ্ট করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। একারণে অত্র এলাকায় সব সময় দূর্গন্ধ ও অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করে ।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান এরই ফলশ্রæতিতে আমরা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। ডায়রিয়া,কলেরা, আমাশয় আমাদের প্রতিনিয়ত গ্রাস করছে। এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই এই এলাকায় বসবাসরত ও পথচারীরা আরো চরমভাবে স্বাস্থ্যহীনতায় ভূগবে। এই অবৈধ পঁচা মাথা শুকানোর ব্যবসা বন্দ করে পরিবেশ দূষণ মুক্ত করার জন্য দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

১০৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares