বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সফল যুব পুরুষ আত্মকর্মী নাহিন

সফল যুব পুরুষ আত্মকর্মী নাহিন

রংপুর ব্যুরোa: রংপুর সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয় থেকে ২০০৬ সালে গবাদি পশু, হাঁস মুরগি পালন, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স করে অল্প পূঁজি দিয়ে ২০০০ সালে মশিয়ার রহমান (নাহিন) শুরু করেছিলেন হাঁস মুরগি, গবাদি পশু পালন।

সেই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজ উদ্যোগে নাহিন মৎস্য হ্যাচারী, নাহিন মৎস্য নার্সারী, হাঁস মুরগি, গবাদি পশু পালন এবং নাহিন এগ্রো ফিড মিল প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে এবং গ্রাহককে ভালো সেবা দানে সক্ষম হওয়ায় গ্রাহকের মাঝে ব্যাপক আলোরণ সৃষ্টি হয়।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাঁস মুরগি, গবাদি পশু পালন করার পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবক ও মহিলাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে নিজের প্রতিষ্ঠানে ৫৫ জন যুবক র মািহলাদের কর্মস্থানের ব্যবস্থা করেছেন নাহিন। মশিয়ার রহমান নািহন বলেন, ছোট বেলা থেকে আমার স্বপ্ন ছিল হাঁস মুরগি, গবাদি পশু পালন করে এলাকার উন্নয়ন করব। তিনি আরো বলেন, আজকে আমার এই প্রতিষ্ঠান দেখে সমাজের বেকার যুবক ও মহিলারা নিজের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করতে পারবে। আমরা জানি বর্তমান সরকার বেকার যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এর ফলে তাদের জীবনমান উন্নয়নের বিকাশ ঘটবে।

যুব উন্নয়ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি এই অঞ্চলের একজন সাফল্য উদ্যোক্তা এবং আত্মকর্মী তিনি নিজের কর্ম চেষ্টায় এবং পরিবারের সার্বিক সহযোগীতায় স্বাবলম্বী হয়ে ০৬নং ওয়ার্ড রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বেকার যুবক ও মহিলাদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও চিকিৎসা ইত্যাদি দিয়ে থাকেন।

বর্তমানে তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন এবং দায়িত্ব সহকারে গ্রামের বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দেন। তিনি ব্যক্তিগত ভাবেও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও খামারিদের পরামর্শ দেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার চেষ্টায় সবসময় ব্যস্ত থাকেন তিনি।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিয়োজিত আছেন। তার নিজের এবং সামাজিক প্রকল্পগুলি যুব উন্য়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ এবং অন্যান্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন পর্যায়ে পরিদর্শন করে ভুয়সী প্রসংশা করেছেন। তার সাফল্য দেখে অনেকেই এখন তার প্রতিষ্ঠানের মত প্রকল্প তৈরি করতে আগ্রহী এবং স্বপ্রোনদিত হয়ে তারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সাফল্যের মাত্র দুই ভাগ হল প্রতিভা আর বাকি আটানব্বই ভাগই হল কঠোর পরিশ্রম। যে ব্যক্তি কঠোর চিন্তা ও পরিশ্রমের দ্বারা এই সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবেন, তিনিই সফলতা অর্জন করবেন।

৯৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares