কুড়িগ্রামে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর ইইপি প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা প্রদান
৪ Views
মোঃবুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে অতি দরিদ্রের জীবন মান উন্নয়নে প্রশিক্ষন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য পাঁচগাছীতে ৫৫ জন এবং যাত্রাপুরে ৭০ জন সুবিধাভোগী নারীদের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা বিতরন করেছে সংস্থাটি। পর্যায় ক্রমে জেলার ৩ হাজার ২’শ ৫০ জন নারীদের অর্থ সহায়তা পাবেন বলে জানান সংস্থাটি। রবিবার (১২ জানুয়ারী) দুপুর ২টায় কুড়িগ্রাম যাত্রাপুর ও পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদে এ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গফুর, পাঁচগাছী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন সরকার, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর ইইপি প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মমিনুর রহমান, মনিটরিং অফিসার ফারুক আহমেদ, ফাইন্যান্স অফিসার এনামুল হক, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা ফারুক হোসেন ও কমিউনিটি অর্গানাইজার সুলতানা রাজিয়া প্রমূখ। ইলিমিনেশন অব ইক্সট্রিম পোভারটি ইন বাংলাদেশ প্রকল্পটি (Elimination of Extreme Poverty in Bangladesh EEP) ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাস হতে কাজ করে আসছে, প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্পের অধীনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় মোট ৩ হাজার ২’শ ৫০ জন অতি-দরিদ্র উপকারভোগীদের নিয়ে ১৩০ টি স্ব- নির্ভর দল (সেল্প-হেল্প গ্রুপ) গঠন করা হয়েছে। এই ইইপি মডেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৩ হাজার ২’শ ৫০ টি অতি-দরিদ্র পরিবারের বর্ধিত আয় ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করবেন। ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এই দলগুলির সদস্যদের বিভিন্ন আয়-বর্ধনমূলক কর্মকান্ড, নেতৃত্ব উন্নয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করবেন এবং টার্গেটেড ৩ হাজার ২’শ ৫০টি অতি-দরিদ্র পরিবারে বিভিন্ন বৈচিত্রময় আয় সৃষ্টিকারী কার্যক্রম, স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং সামাজিক বিষয়ে জ্ঞান ও স্বক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজ করবেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক কৃত্রিম প্রজনন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি অফিসার ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর টেকনিক্যাল কর্মকর্তা সদস্যদের পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে আসছেন। সদস্যদের প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি সদস্য আয়-বর্ধনমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। এ ছাড়াও বাড়ীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও ১ হাজার টাকা পাবেন যেখান থেকে তারা জৈব সার পাবেন যা বসতভিটায় শাকসবজি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করবেন।