রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাঘায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে, সফলতার সম্ভাবনা

বাঘায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে, সফলতার সম্ভাবনা

১৯৫ Views
বাঘা (রাজশাহী) প্রতি নিধি : এ সময় পেঁয়াজ একটি উচ্চমানের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। বর্তমানে অধিকাংশ দেশেই কম-বেশি পেঁয়াজের আবাদ পরিলক্ষিত। তবে পেঁয়াজের আকার- আকৃতি স্বাদ, গন্ধ, পুষ্টি, পরিবহণ সুবিধা এবং সংরক্ষণ গুণের কারণে দ্রুত এর চাষাবাদ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ব্যত্বয় ঘটেনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ।
 উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আমাদের দেশে গত দুই বছর পূর্বে পেঁয়াজের ব্যাপক সংকট গেছে। তবে এ বছর কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ এবং উপজেলা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে সফল চাষীদের পুরুস্কার দিতে চাওয়ায় এর উৎপাদন বৃদ্ধি-সহ অনেক কৃষকই পেঁয়াজ চাষাবাদে সফল হতে চলেছেন। হয়তো আগাম চাষীরা খুব শির্ঘই পেঁয়াজ তোলা শুরু করবেন।
তথ্য মতে, দশ বছর আগে শীতের ফসল পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত উদ্ভাবিত হলেও কৃষকরা তেমন একটা আগ্রহ দেখায়নি । এর ফলে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত গত দুই বছর পূর্বে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিলে সারাদেশে ব্যপক পেঁয়াজ এর ঘাটতি দেখা দেয়। এর ফলে গত বছর অনেক কৃষক পেঁয়াজ চাষাবাদ করে। তবে এ বছর বাঘা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিনা খরচে বীজ এবং উৎপাদনের খরচ হিসাবে নগদ টাকা দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করা সহ লিড ফার্মারদের পুরুস্কার দেয়ার ঘোষনা করায় অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ চাষে সফল হতে চলেছেন।
কৃষি গবেষক হামিদুর রহমান জানান, বরাবরই দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়ে আসছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকটে গত বছর থেকে আগাম কোনো তথ্য ছাড়াই হুট করে পেঁয়াজ রপ্তারি বন্ধ করেন তারা। এতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক দাম বৃদ্ধি পায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে বেশ হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, এর আগে পেঁয়াজ এক মৌসুমে উৎপাদন হওয়ায় বছরের অন্য সময় সংকটে পড়তে হতো। বাড়তো পেঁয়াজের ঝাঁঝ ।তখন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ এনেও ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হতোনা । তবে এ সমস্যা আগামী দিন গুলোতে আর হবেনা। এখন থেকে প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকারের প্রচেষ্টা হিসেবে বাঘা উপজেলায় প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সমতল এলাকার চেয়ে চরাঞ্চলে বেশি। আমরা সেই লক্ষমাত্রা অর্জনে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বিশেষ করে এই বছরে অনাবৃষ্টি ও খরায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা উৎপাদন করা যথেষ্ট কষ্টকর ছিল তবুও আমরা সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে সফলতার দ্বার প্রান্তে প্রায় পৌঁছে গেছি। আমাদের এই প্রচেষ্টার ফলে খুব শির্ঘই জমি থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ তোলা শুরু হবে। তখন বাজার মুল্য সাভাবিক পর্যায় চলে আসবে।
Share This