![যশোরে ২০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে যশোরে ২০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে](https://spnewsbd.com/wp-content/uploads/2024/01/বাজেয়াপ্ত-হচ্ছে.jpg)
যশোরে ২০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে
![](https://spnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ইয়ানূর রহমান : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনে ২০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। বৈধ ভোটের আট শতাংশ ভোট না পাওয়া কারণে এদের কেউই জমা দেওয়া জামানত আর ফেরত পাবেন না। এবারের নির্বাচনে যশোরে সর্বমোট ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে বিজয়ী ছয়জন বাদেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের বেশিরভাগ বিধি অনুযায়ী আট শতাংশ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, কাস্টিং ভোটের আট শতাংশ না পেলে কোনো প্রার্থী তার জমাকৃত জামানত ফেরত পাবেন না। জামানত হিসেবে ছবিসহ ভোটার তালিকার সিডি নিতে টাকা জমা দিতে হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য ৫০০ এবং পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০ টাকা করে জমা দিতে হয়েছে এই জামানত।
সেই কারণে একেক আসনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ একেক রকম। যে আসনে ইউনিয়ন বেশি এবং পৌরসভা রয়েছে সেখানে জামানতও বেশি।
জামানত হারাতে যাওয়া প্রার্থীরা হলেন,
যশোর-১ (শার্শা) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আক্তারুজ্জামান। তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ১৫১ ভোট। তিনি ১০ হাজার ১৬৮ ভোট পেলে তাহলে জামানত ফেরত পেতেন।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে জামানত হারাচ্ছেন চারজন। তাদের একজন হচ্ছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের এসএম হাবিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২২২ ভোট। যদিও নির্বাচনের ঠিক কয়েকদিন আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এছাড়া, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ফিরোজ শাহ এক হাজার ৯৫০, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আব্দুল আওয়াল ডাব প্রতীকে এক হাজার ২৪৫ ও বিএনএফের শামছুল হক টেলিভিশনে এক হাজার ২০০ ভোট পেয়েছেন। আট শতাংশ হিসেবে তারা ১৪ হাজার ৯৪৮ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
যশোর-৩ (সদর) আসনে জামানত হারাতে যাচ্ছেন ছয় প্রার্থী। এরা হচ্ছেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের তৌহিদুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের কামরুজ্জামান, বিকল্প ধারার কুলা প্রতীকের মারুফ হাসান কাজল, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মাহবুব আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙ্গর প্রতীকের শেখ নুরুজ্জামান ও এনপিপির আম প্রতীকের সুমন কুমার রায়। এবারের ভোটে তৌহিদুজ্জামান এক হাজার ২৪৬, কামরুজ্জামান ৩৮৯, মারুফ হাসান কাজল ৫৫৫, মাহবুব আলম তিন হাজার ৭১০, শেখ নুরুজ্জামান ২২৪ ও সুমন কুমার রায় ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন। জামানত রক্ষায় তাদের কমপক্ষে ১৫ হাজার ৪৪০ ভোট দরকার ছিল।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে জামানত হারাতে যাচ্ছেন পাঁচ প্রার্থী। তারা হলেন, এক হাজার ৬৬৬ ভোট পেয়ে তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশের এম. শাব্বির আহমেদ, চার হাজার ১৫৩ ভোট পেয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের ইউনুছ আলী, ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের জহুরুল হক, ৪২৩ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নোঙ্গর প্রতীকের সুকৃতি কুমার মন্ডল ও ৫৮৬ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিৎ কুমার রায় জামানত হারিয়েছেন। যদিও প্রার্থিতা নিয়ে মামলায় হেরে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নৌকায় সমর্থন দিয়ে সরে যান রণজিৎ কুমার রায়। এই আসনে জামানত বাঁচাতে ১৫ হাজার ৮৭৭ ভোট পাওয়া জরুরি ছিল।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে জামানত হারাচ্ছেন তিন প্রার্থী। ২৩৬ ভোট পেয়ে তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা, ৬২৪ ভোট পেয়ে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের এমএ হালিম ও ৮০৬ ভোট পেয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী জামানত হারাচ্ছেন। এই আসনে আট শতাংশ হিসেবে প্রার্থীদের ১২ হাজার ১১৮ ভোট পাওয়া জরুরি ছিল।
এছাড়া, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ৬৪০ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জিএম হাসান। এই আসনে জামানত রক্ষায় আট হাজার ৪৮৫ ভোট পাওয়া প্রয়োজন ছিল।