সিরাজগঞ্জে হত্যার অপরাধে ৬ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার খাস সোনামুখী মধ্যপাড়া গ্রামের শ্রী আনন্দ সরকারের ছেলে শ্রী সুজন কুমার সরকার, বিশ্বাস বাড়ি এলাকার আবু তালেবের ছেলে রুবেল, বলরামপুর পূর্বপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শিপন একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ইউসুফ আলী, জলিল মন্ডলের ছেলে লিটন মন্ডল ও সড়াতৈল গ্রামের মৃত মোখদম সরদারের ছেলে রায়হান সরদার।
এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত রায়হান সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপশি ৩৪ ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন বিচারক।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন দন্ড প্রাপ্ত ৬ আসামীর মধ্যে ৫ জন রায় ঘোষনার সময় উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে আসামী শ্রী সুজন কুমার সরকার পলাতক রয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, রায়হান সরদার ও শিপন ভিকটিম মনোতোষের পিতার “স” মিলে কাজ করতো। কাজের সময় আসামী রায়হান সরদার মনোতোষের পিতার নিকট থেকে ২২ হাজার টাকা ঋন নেয়। কিছুদিন পর মনোতোষের পিতার “স” মিলটি বন্ধ হয়ে গেলে তারা অন্য জায়গায় কাজ করেন। মনোতোষের পিতা পাওনা টাকার জন্য রায়হান সরদারকে চাপ দিলে ও বকাঝকা করলে রায়হান ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসামী রায়হান সরদার, শ্রী সুজন কুমার সরকার, রুবেল, শিপন, ইউসুফ আলী, লিটন মন্ডলের সাথে শলাপরামর্শ করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রায়হান সরদার আসামী শিপনের বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করে এবং ভিকটিম মনোতোষকে দাওয়াত করেন। ভিকটিম মনোতোষ আসামী সুজনকে সাথে নিয়ে রাত ৮টার দিকে সুজনের বাড়ীতে পিকনিক খেতে আসেন। খাওয়ার পর আসামী সুজন কুমার সরকার, রুবেল, রায়হান সরদার, শিপন, ইউসুফ আলী ও লিটন মন্ডল ভিকটিম মনোতোষকে বেঁধে রেখে তার পিতার কাছে ৫লাখ টাকা মুক্তিপন দাবীর পরিকল্পনা করেন।