চরবাসীর দুঃখ ঘোচাতে অনবদ্য ছুটে চলছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা


মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম বাংলাদেশের দরিদ্র প্রবণ ও দুর্যোগে ঝুকিপূর্ণ জেলা। এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে ছোটবড় ১৬ টি নদ-নদী। প্রতি বছর বন্যা,নদী ভাঙ্গন,শীত ইত্যাদির বিরুপ জলবায়ুর ঝুঁকির প্রভাবে কুড়িগ্রামের জনজীবন প্রায় বিপন্ন। প্রতি বছর আবাদি জমিসহ বসতভিটা বিলুপ্ত হচ্ছে নদীগর্ভে। কৃষি কাজ হচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষের প্রধান পেশা কিন্তু বন্যার পুর্ব থেকে পরবর্তী প্রায় তিন মাস তাদের হাতে কোনো কাজ থাকেনা। তাই দিনদিন দারিদ্রতার ভয়াল থাবার শিকার হতে হচ্ছে নদীরকূলে বসবাস করা চরবাসীদের। এই প্রতিকূল অবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারার কারনে অনেকেই দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছে। শুধু তাই নয়, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার , শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
এরই বাস্তবতায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা চরাঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা ও ক্ষুধা মুক্তির লক্ষ্যে এবং সক্ষমতা অর্জনের মূলমন্ত্র নিয়ে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন দুর্গম চরে ক্লান্তিহীন ছুটে চলেছেন।
কখনো মোটরসাইকেল, কখনো নৌকা, কখনো ঘোড়ার গাড় আবার কখনো পায়ে হেটেই যাচ্ছেন চরের মানুষের স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে। দেখা করছেন চরের গরীব অসহায় মানুষের সাথে।
এরই ধাবাবাহিকতায় গতকাল বুধবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা পৌঁছে যান নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চর লুছনী এলাকায়।যেখানে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
চর লুছনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী নারীদের সাথে কথা বলে আত্মপ্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগান।
তিনি বলেন,আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি। চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নের জন্য একটি চর বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাবের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। সকল সরকারি দপ্তরসহ কুড়িগ্রামবাসী একত্রিত হয়ে চরের এই মানুষগুলোর উন্নয়নে কাজ করবো।
৯ বার ভিউ হয়েছে