বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাচ্চাদের সব কথা বাচ্চামো ভেবে উরিয়ে দিবেন না।প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবারে এভাবেই নিরবে শিশুরা হয়রানির শিকার হয়)

বাচ্চাদের সব কথা বাচ্চামো ভেবে উরিয়ে দিবেন না।প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবারে এভাবেই নিরবে শিশুরা হয়রানির শিকার হয়)

“আম্মু শুনো? পাশের বাসার দাদুভাই আমায় একা পেলেই, কোলে নিয়ে বুকে খুউব করে ব্যথা দেয়।”রান্না ঘরে বসে দুপুরের রান্না করছিলো নিহা,পিছন থেকে মেয়ের এমন কথা শুনে ধমকে উঠলো তিনি। এমনিতেই প্রচুর গরমের মধ্যে ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে রান্না করছে উনি, তার উপরে অসময়ে মেয়েটার এহেন কথায় মেজাজ বিগড়ে গেল তার। মেয়েটা কি আবোল-তাবোল বলছে এসব, চাচার মতো মানুষ হয় নাকি? আজ দু’টো বছর হয় চেনা-জানা লোকটি,এখন অবধি কখনো খারাপ কোনো কিছু চোখে পড়েনি তার। তার উপরে উনি একজন হাইস্কুলে’র আদর্শ শিক্ষক হিসেবে বেশ পরিচিত। তার নামে পা’জি মেয়েটা কি বলছে এসব? না এগুলো হয় না, কস্মিনকালেও না! মনে মনে এসব হিসেব মিলিয়ে নিলো
তিনি।

আট বছরের ছোট্ট তনু মায়ের ধমক খেয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। তা দেখে নিহা পুনরায় মেয়েকে ধমক দিয়ে,
কণ্ঠে একরাশ বিরক্তি নিয়ে বললো,এখান থেকে যাবি তনু। একটু শান্তিতে রাঁধতেও দিবো না আমায়? সারাদিন এতো জ্বালা ভালো লাগেনা আর।”মায়ের কাছে আশকারা না পেয়ে তনু নাক টেনে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো নিজের ঘরে।একসপ্তাহ চলে গেলো। আজ বাসার সামনে মেলা বসেছে। বাচ্চারা মেলায় যাচ্ছে দেখে, তনুও যাবে বলে,
মায়ের আঁচল ধরে বায়না করে কাঁদছে। কিন্তু নিহার ভীষণ জ্বর।এরিমধ্যে তনুর কান্না শুনে দাদুভাই এসেছে। তনুর মাথায় স্নেহেতুময় হাত বুলিয়ে বললো”কেঁদো না দাদুভাই!” বউমা তনুকে রেডি করে দেও আমি নিয়ে যাচ্ছি।”আমি তোমার সাথে যাবো না দাদুভাই। তুমি ভীষণ পঁচা!”
ছোট্ট মেয়েটাকে বুঝালো মা। মেলায় গেলে দাদুভাই, আইসক্রিম, চকলেট,শাড়ী-চুড়ি দিবে কিনে।
অবুঝ মেয়েটা খাবার লোভে ছুটে গেলো দাদুর সঙ্গে। মেলার নাম করে দাদু ভাই নিলো বন্ধ রুমে। হিংস্র
প্রাণীর ন্যায় ঝাপিয়ে পড়লো ছোট্ট তনুর বুকে। স্বাদ মতো মিটিয়ে নিলো পুরুষত্বে’র ক্ষু’ধা।ওই যে গেলো মেয়ে’টা, ফিরলো সতীত্ব হারিয়ে রক্তাক্ত কাপড়ে! যাদেখে মা মেয়েকে বুকে জড়িয়ে কান্নায় পড়লো ভেঙে। পরক্ষণেই
মুখে আঁচল চেপে ধরলো, লোকে জানলে সম্মান যাবে, মেয়ে দেওয়া যাবে না বিয়ে। যে করেই হোক তনুর
বাবা’কে বলে এ বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় যাবে চলে। ছোট্ট মেয়েটা ইজ্জত হারিয়েও পেলো না বিচার লোক সমাজের ভয়ে। অপরাধীরা এভাবে বাঁচে ভালো মুখোশ পরে বুক ফুলিয়ে।

(বাচ্চাদের সব কথা বাচ্চামো ভেবে উরিয়ে দিবেন না।প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবারে এভাবেই নিরবে শিশুরা হয়রানির শিকার হয়)

(সংগৃহীত)

১৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS