মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শার্শা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন

শার্শা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা \ যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাচনে নতুন প্রার্থীদের আনাগোনা শোনা যাচ্ছে। তবে যে সকল প্রার্থী মনোনয়ন পত্র কিনেছেন তারা দলিয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাছাড়া এবার নির্বাচনে কোন দলিয় প্রতিক না থাকায় একাধিক প্রার্থী কোমর বেধেই নেমেছন। আগামী নির্বাচনে তারা সকলেই অংশ গ্রহন করবেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন এক স্বাক্ষারকারে এ প্রতিনিধিকে জানান যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য অনলাইনে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। ১৭ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তারা আবেদন করেছেন। এর মধ্যে চারজন উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, নাভারণ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য ও বিশিষ্ট ঠিকাদার ওয়াহিদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও তরিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরদৌস ও নাজমুন্নাহার। আগামী ২১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত আবেদন প্রার্থীরা আবেদন পত্র কিনতে পারবেন। আগামী ২১ মে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগনের সাথে সকল প্রার্থীরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। সাধারণ ভোটারদের অভিমত যে যদিও বিরোধী দল নির্বাচনের মাঠে থাকছেনা, শুধু তাই নয় এবার নির্বাচন হবে হাড্ডা-হাড্ডি। শার্শায় দু-ভাই উপজেলা নির্বাচনে চমক দেখাবেন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, একই পরিবারে একই দলীয় দু-ভাই শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল হক মঞ্জু এক স্বাক্ষাতকারে এ প্রতিনিধিকে জানান দলীয় সমর্থন পেলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবো। তাছাড়া আমার পরিবারের একটি রাজনৈতীক পরিচয় আছে। তাছাড়া ২০১৩ সাল থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে সাধারণ জনগনকে সেবা দিয়ে আসছি। ১৯৬০ দশক থেকে ছাত্র রাজনীতি করে আসছি। ১৯৭২ সালে উপজেলা যুবলীগের ফাউন্ডার সভাপতি। ১৯৬৮ সালে বিএসসি পাশ করি। তিনি আরো বলেন রাজনৈতীক জীবনে আমার কোন চায়া পাওয়া নেই। তবে আমার একটাই চাওয়া আছে সেটা হল জীবনের বাকি সময়টা সাধারণ মানুষের সেবা করে মরতে চাই। তাছাড়া দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে আমার কিছুই করার নেই। জাতীয় সংসসদ সদস্য যশোর ৮৫-১ যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে বাধ্য। অন্যান্য প্রতিদন্দি প্রার্থীদের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি যদি ভাল কাজ করে থাকি তাহলে অবশ্যই আমাকে আগামী ২১মে সাধারণ জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয় নিশ্চিত করবেন। এব্যাপারে শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কওছার আলী সহ একাধিক গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীদের বিষয়ে একস্বাক্ষাকারে এ প্রতিনিধিকে জানান দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা অবিচল তবে পুরাতন চালে ভাত বেশী হয়। তাই আমার অভিমত যে আছে সেই ভাল। লক্ষণপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আলী মিয়া এক স্বাক্ষাতকারে জানান দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে আমরা কাউকে ভোট দেব না। যোগ্য ব্যাক্তিদেরকেই আমরা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচীত করবো।

 

১৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS