রবিবার- ৩০শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৬ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে এক্স-রে মেশিনের কক্ষে ঝুলছে তালা

বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে এক্স-রে মেশিনের কক্ষে ঝুলছে তালা

খায়রুন নাহার বহ্নি (বীরগঞ্জ) দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটের কারণে দীর্ঘ ৮মাস ধরে একমাত্র এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি তালাবদ্ধ রয়েছে। এক্স-রে মেশিনটি অব্যবহৃত থাকায় বিকল হতে বসেছে মুল্যবান যন্ত্রপাতি। দীর্ঘদিন ধরে এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা নিতে আসা রুগীরা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৬মে এক্স-রে মেশিন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা একমাত্র রেডিও গ্রাফার বিপুল কুমার মন্ডল অবসরে যাওয়ার কারণে পদটি শুন্য হয়ে যায়। বর্তমানে রেডিও গ্রাফারের অভাবে বন্ধ রয়েছে এই সেবা। বিকল্প কোন লোকবল না থাকায় বর্তমানে এক্স-রে কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে যক্ষা রোগ নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হলেও কারিগরি ক্রটির কারণে সেটিও ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। মেরামত না করার কারণে নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে মেশিনটি।

এদিকে বর্তমানে এই সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বল্পমুল্যে এক্স-রে সেবা পাওয়া যায়। এখানে এক্স-রে করতে ছোট ফ্লিমের জন্য ৭৫টাকা এবং বড় ফ্লিমের জন্য ১২০টাকা পরিশোধ করতে হয় রোগীদের। কিন্তু সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হতে উচ্চমুল্যে এক্স-রে করতে হচ্ছে। এতে তাদের ব্যয় হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।

সেবা নিতে আসা পৌর শহরের মোঃ মকফুর হোসেন জানান, স্বপ্ল আয়ে রোগের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে বেশ সংকটে আছি। কারণ দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এরপর নিজের চিকিৎসা ব্যয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে সেবা চালু থাকলে অনেক টাকা বেচে যেত। আর্থিক সংকটে থাকা আমাদের মতো রোগীদের জন্য এই অতিরিক্ত ব্যয় কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেবা বঞ্চিত ভ্যান চালক মইনুল হোসেন ৪৫ জানান, এখানে এক্স-রে করতে যে টাকা লাগে বাইরে তার দ্বিগুনের বেশি টাকা লাগে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবা চালু থাকলে বেশ কিছু টাকা সাশ্রয় হতো। যেটি দিয়ে অন্তত্যপক্ষে কিছু ওষুধ কেনা যেত। এই সেবা বন্ধ থাকায় বিপদে পড়েছে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের রোগীরা।

সেবা বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, রেডিও গ্রাফারের পদটি শুন্য থাকায় সাময়িক ভাবে এক্স-রে সেবা প্রদান বন্ধ রয়েছে। তবে আমরা পদটি শুন্যতার কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে চাহিদা পত্র প্রেরণ করেছি। আশা করছি দ্রæত সময়ে এই সমস্যার সমাধান হবে।

৬০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares