শনিবার- ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নরসিংদীতে এবারের শীতে শুকনা মরিচের চাহিদা কম, কাঁচা মরিচের চাহিদা বেশি 

নরসিংদীতে এবারের শীতে শুকনা মরিচের চাহিদা কম, কাঁচা মরিচের চাহিদা বেশি 

শান্ত বণিক, নরসিংদী: শীতকালীন সবজি আর কাঁচা মরিচের ভিড়ে চাহিদা নেই শুকনা মরিচের। নরসিংদী বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। আর শুকনা মরিচের দাম চারগুণ হওয়ায় এর চাহিদা অনেক কম।
সরেজমিনে নরসিংদীর পাইকারি বাজারগুলেতে দেখা গেছে, এক কেজি শুকনামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকায়। কাঁচা মরিচের দাম কম হওয়ায় শুকনা মরিচের বিকল্প হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন অনেকে।
মনোহরদী উপজেলার রামপুরে প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার হাটবসে। এই হাটে শুকনা মরিচ কিনতে আসা শিক্ষিকা সাথী বণিক বলেন, ‘দাম বেশি হলেও শুকনা মরিচ কিনেছি। তবে এই শীতকালে তুলনামূলক মরিচের দাম অনেক কম। গতবার আমি ৬০০ টাকা কেজিও শুকনা মরিচ কিনেছি।’
মরিচের হাটে কথা হয় জয়ন্ত বণিকের সঙ্গে, তিনি বলেন, ‘শুকনা মরিচের দাম জেনে গিয়ে কিনেছি কাঁচা মরিচ। আর আমার বাড়িতে কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করে এখন। শুকনার দাম বেশি তাই নিব না।’
অপর এক ক্রেতা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘শীতকালে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা বানাই। তাই শুকনা মরিচের প্রয়োজন হয়। বাজারে এসে বিশ টাকার শুকনা মরিচ কিনেছি। তা দুই সপ্তাহ চলে যাবে। গুঁড়া মরিচ দিয়ে রান্না করি।’
শুকনা মরিচ কিনতে আসা রবিউল আলম বলেন, ‘সমাজকল্যাণ বাজারে মুদি দোকানে গুঁড়া মরিচ বিক্রি করতে হয়। দশ কেজি মরিচ কিনেছি। তা আরও শুকাতে হবে। পরে মেশিনের গুঁড়া করে বিক্রি করব। এক কেজি শুকনা মরিচ গুঁড়া করলে ৭০০ গ্রাম হয়।’
পাইকারি শুকনা মরিচ বিক্রি করেন আজমল মোল্লা। তিনি বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে ধরে শুকনা মরিচের দাম বাড়েনি। তবে শীতকালীন কাঁচা মরিচের মূল্য কম হওয়ার শুকনা মরিচের চাহিদা কম।’
শফি উল্লাহ মাতাব্বর নামে আরেক পাইকার জানান, তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে সরাসরি নরসিংদীর হাটে মরিচ আমদানি করেন। পাইকাদের দেওয়া হয়। এক কেজি মরিচে দুই টাকার বেশি মুনাফা হয় না। আর এবার মরিচের বাজার তেমন উঠেনি। তবে আশা করছেন, আসছে রমজান মাসে বাজার ভালো পাবেন।
এদিকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় স্থানীয় কৃষকরা কাঁচা মরিচ শুকাতে হিমশিম খাচ্ছে। আগামী মাসে নতুন শুকনা মরিচ বাজারে আসলে বাজারে চাহিদা বাড়বে বলে আসা করছেন তারা।
২৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS