শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঈদের ছুটিতে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে

ঈদের ছুটিতে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এখনও পরিবহনের চাপ বাড়েনি। দিনের বেলায় মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। নেই যানজটও। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা অলস সময় পার করছেন দূর পাল্লার পরিবহন কাউন্টারের শ্রমিকেরা।

যানযট ও ভীড় এড়াতে আগে-ভাগে যারা বাড়ি ফিরছেন সেসব যাত্রীর দেখা মিলছে টিকিট কাউন্টারে। কয়েকদিন ধরে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই শিল্পাঞ্চলের মানুষ ঈদের ছুটিতে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

অফিস ও কারখানা ছুটির পরে বাড়ি যেতে অগ্রিম টিকিট বুকিং দিয়েছেন অনেকেই। শিল্পাঞ্চলের পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য কারখানা ছুটি দেয়ার পরে মহাসড়কে বেড়ে যাবে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ। এমনটাই বলছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ঈদের ছুটিতে আগামী ২৭ জুন পরিবার নিয়ে যশোরে যাবেন গার্মেন্টস শ্রমিক রফিক মিয়া। তিনি জানান, অগ্রিম টিকিট করার জন্য তিনি সাভারে বাস কাউন্টারে এসেছেন। কিন্তু কোন পরিবহনের অগ্রিম টিকিট পাঁচ্ছে না। অনেকেই অগ্রিম টিকিট করে রাখায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সাতক্ষীরার যাত্রী আজাদ রহমান। পরিবার নিয়ে বসে আছেন সাতক্ষীরা লাইন বাস কাউন্টারের অফিসে। তিনি জানান, কাউন্টারে এসে তিনি টিকিট পেয়েছেন। পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন। যানজট ও যাত্রীদের অতিরিক্ত ভীড় এড়াতে তিনি আগেই ছুটি নিয়েছেন। পরিবহনের টিকিট মিললেও গাড়ির পেছনের সাড়িতে বসে যেতে হবে তাদের।

দিগন্ত পরিবহনের সাভার টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আসলাম হোসেন জানান, ঈদে এবার যাত্রীর চাপ কম। আগামী ২৭ জুন থেকে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ থাকবে কাউন্টারে। বর্তমানে অনেক গাড়ির সিট খালি যাচ্ছে। আগেই যারা ফ্যাক্টরি থেকে ছুটি নিয়েছেন তারাই যাচ্ছেন বাড়িতে। আগামী মঙ্গলবার সকল গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হওয়ার পরে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হবে।

ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, ঈদে মানুষের ঘরে ফেরা নিরাপদ ও যানজট মুক্ত করতে মহাসড়কে পুলিশের নিয়মিত টহল চলছে। বাসস্ট্যান্ড ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ।

পবিত্র ঈদুল আযহায় ঘরে ফেরা মানুষ ঢাকা থেকে ছুঁটতে শুরু করেছেন শেকড়ের টানে। নিরাপদে ঘরে ফিরে ঈদের আনন্দ উপভোগ শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরবে মানুষ। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

১২৫ বার ভিউ হয়েছে
0Shares