শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রহ্মপুত্রে বিলিন খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ

ব্রহ্মপুত্রে বিলিন খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ

সাইয়েদ বাবু,কুড়িগ্রাম জেলা  প্রতিনিধি-২২-০৬-২৩ :;  গত এক বছরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। ভাঙনে বিলিন হয় দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাংশ। এনিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অনুরোধ করলে নামমাত্র জিও ব্যাগ ফেলা হয় সেখানে। স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায়। এ কারণে রোববার সকালে ওই ইউনিয়নের একমাত্র স্কুল অ্যান্ড কলেজটি বিলীন হয়ে যায় ব্রহ্মপুত্রে। এতে প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভাঙন হুমকিতে রয়েছে দক্ষিণ খাউরিয়া বাজার ও শতাধিক বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
জানা গেছে, উজানের ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ছে। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙন আতঙ্কে অনেকে সরিয়ে নিচ্ছেন ঘরবাড়ি। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি স্থানীয়দের।
দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ২০২০ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে বিদ্যালয় ভবনটি হস্তান্তর করা হয়। নয়ারহাট ও অষ্টমীরচর ইউনিয়নের একমাত্র মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এটি। এ প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বিলিন হওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বিঘ্নিত হয়ে পড়ল।
নয়ারহাটের জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন  প্রতি বছর ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন অব্যাহত থাকে। কিন্তু যে সময় ভাঙন রোধে কাজ করার দরকার, সেই সময় কোনও কাজ করা হয় না। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, এতে আগামী দু-এক মাসের মধ্যে কয়েকশ হেক্টর আবাদি জমিসহ শতাধিক বসতভিটা বিলিন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ব্রহ্মপুত্রে বিলিন হওয়ায় এ চরাঞ্চলের অভাবি মানুষের সন্তানদের লেখাপড়া ব্যাহত হবে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, খাউরিয়া স্কুল এন্ড কলেজটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছিল। ভবনটি বিলিন হলেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যেন ব্যাহত না হয়, সেজন্য আমরা পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে স্কুল এন্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন চারদিকেই নদী বেস্টিত হওয়ায় এখানে  স্থায়ী স্থাপনা নির্মান ঝুঁকিপূর্ণ , তবে পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে থাকায় আজ বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অস্থায়ী টিন শেড ঘরের ব্যবস্থার চিন্তা করছি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লা আল মামুন বলেন নয়ারহাট বাজারটি চারদিকে নদী দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় নদী ভাংগন রোধ সম্ভব নয়, তাই ওখানে অস্থায়ী ভাবে টিন শেড ঘর নির্মানের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে ।
১৪৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares