বৃহস্পতিবার- ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রণী হিসেবে গ্রামীণফোন দেশে পরিবেশবান্ধব ই-সিম চালু হচ্ছে : নতুন যুগের সূচনায়

প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রণী হিসেবে গ্রামীণফোন দেশে পরিবেশবান্ধব ই-সিম চালু হচ্ছে : নতুন যুগের সূচনায়

চালু হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ই-সিম। নির্দিষ্ট গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ই-সিম নিতে পারবেন গ্রাহকরা। এর আগে মার্চের শুরুতে ই-সিম নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছিল গ্রামীণফোন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত থাকলেও অনিবার্য কারণবশত পিছিয়ে যায় ই-সিমের উন্মোচন।

দেশের বাজারে ই-সিমের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এ ধরনের উন্নত ও পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত।

ই-সিম উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কানেক্টিভিটির নতুন যুগের সূচনায় আমাদের সহায়তা করার জন্য আমি বিটিআরসি, এনবিআর, গ্রামীণফোনে আমার সহকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের ধন্যবাদ জানাই। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রণী হিসেবে, এ যাত্রায় যুক্ত হতে আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই।

এ বিষয়টি অস্বীকার করার উপায় নেই যে জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে। গ্রামীণফোনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে এবং আমাদের গ্রাহকদের আরো অর্থবহ ও ডিজিটালভাবে সেবাদানের পাশাপাশি প্রকৃতির সুরক্ষায় সবার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার ক্ষেত্রে ই-সিম আমাদের পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম।

গ্রামীণফোন জানায়, তাদের নতুন ই-সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইস নিয়ে গ্রামীণফোনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এবং নির্ধারিত গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে ই-সিমের জন্য অনুরোধ করতে হবে।

সিম কেনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ই-সিমের জন্য অনুরোধ করা যাবে। আগ্রহী ক্রেতারা জিপি হ্উাস এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, জিপিসি লাউঞ্জ গুলশান, জিপিসি লাউঞ্জ জিইসি-চট্টগ্রাম, জিপি অনলাইন শপ, মতিঝিল জিপিসি, ফার্মগেট জিপিসি, বসুন্ধরা সিটি জিপিসি, ঢাকা বিমানবন্দর জিপিসি, উত্তরা জসিমউদ্দীন রোড জিপিসি, সীমান্ত স্কয়ার জিপিসি, ধানমন্ডি ও সিলেট করিমুল্লাহ মার্কেট জিপিসি থেকে ই-সিম সংযোগ নিতে পারবেন।

ই-সিমের ক্ষেত্রে নতুন সংযোগের মূল্য ২০০ টাকা এবং প্লাস্টিক সিম থেকে ই-সিম কিংবা ই-সিম থেকে ই-সিমে রিপ্লেসমেন্ট ফি ৯৯ টাকা। ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইসে থাকা ক্যামেরা দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম সক্রিয় করতে ইন্টারনেট সংযোগ (মোবাইল ডাটা অথবা ওয়াইফাই) চালু করতে হবে।

এর ফলে প্রচলিত সিম কার্ডে যে ঝামেলা রয়েছে তা দূর হবে। বহু নেটওয়ার্ক এবং নম্বর একটি ই-সিমে সংযুক্ত করা যাবে; তবে, এটি নির্ভর করবে হ্যান্ডসেটের ওপর। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়েই নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবা নিশিচত হবে। গ্রাহকরা ই-সিমে একাধিক নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন, যা ভ্রমণকারীদের জন্য আরো স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসবে। সল্যুশনটি যেহেতু ডিভাইসের সঙ্গে এমবেড করা থাকবে, তাই এ ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু করার প্রয়োজন হবে না। ব্যবহারকারীদের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে স্টোর করা থাকবে বলে ই-সিম উন্নত নিরাপত্তা দেবে।

১৭৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares