বুধবার- ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহীতে দিগন্ত বিস্তৃত সোনালী বোরো ধান কাটা শুরু, বাম্পার ফলনে কৃষক খুশি

রাজশাহীতে দিগন্ত বিস্তৃত সোনালী বোরো ধান কাটা শুরু, বাম্পার ফলনে কৃষক খুশি

নাজিম হাসান,রাজশাহী: রাজশাহীতে দিগন্ত বিস্তৃত সোনালী বোরো ধানে কৃষকরা খুশি। যেদিকে তাকায় চোখ যায় যতদুরে শুধুই সোনালী ফসলে ভরা কৃষকের তৃপ্তি জাগানো রক্ত ঘামানো জীবনের সব উজাড় করে দিয়ে মাঠে ফলিয়েছেন বাঙ্গালী জাতির প্রধানতম খাবার ধান। অনেক প্রতিকুলতা পার করে উত্তর বঙ্গের ধান ফলানোর অন্যতম এলাকা রাজশাহীর বরেন্দ অঞ্চল। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রতিটি এলাকা জুড়ে মাঠে শোভা পাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি মাঠে এক সাথে পেকেছে ধান। সাথে কাটা পড়ছে বেশির ভাগ ধান। বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে সোনালী ধান দেখে মন উজাড় করছেন হাজারো কৃষকেরা। সেই ধান কাটতে আগমন ঘটছে বহিরাগত কৃষি শ্রমিকদের। ফলে গারস্থ কৃষকদের মনে এক প্রকার উল্লাসের ছাপ লক্ষ করা যাচ্ছে। এমন কি ধানের দাম ভালো থাকায় চাষিদের মনে এসেছে তৃপ্তির ঢেকুর। এলাকা সুত্রে জানা যায় রাজশাহী জেলার জনসাধারন কৃষির উপর নির্ভরশীল। তার মধ্যে বরেন্দ অঞ্চলে বোরোর ফসল সবচেয়ে বেশি জমিতে হয়। শুরু থেকেই বন্যাসহ নানা দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়েছে চাষিদের। অনেকের জমি পানিতে ঢুবে গেছে। চারার অভাবে পুনরায় রোপন করতে পারেন নি নিচু এলাকার জমির মালিকরা। আবার ধীর গতিতে পানি নামার কারনে অনেকের রোপিত জমি ঢূবে গেলেও পানি না নামার কারনে রোপন হয়নি ধান। সেই সাথে দেখা দেয় ব্যাপকহারে কারেন্ট পোকা। সব প্রতিকুলতা পিছনে ফেলে তৃপ্তির ঢেকুর ফেলা শুরু হয়েছে কৃষকদের মনে। কারন এ বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল হাজারো কৃষক। মুল রাস্তার দু ধারে দারন শোভা পাচ্ছে বোরোর সোনালী শীষ। যেন সোনালী রঙয়ে সেজেশে দিগন্ত জোড়া বোরো ধানের মাঠ। ধান কাটা পড়ে কম বেশি এক সাথে। এজন্যে ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দেয় চরম তাকে। রাজশাহীর হাজারো কৃষকের শ্রমিক হিসেবে ধান কেটে থাকেন চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের কৃষি শ্রমিকরা। জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে চলতি বোরো ১০ জাতের ধান রোপন করেছেন কৃষকরা। তার মধ্যে ৪৯ জাতের ধান রোপন হয়েছে ১৫৪৭ হেক্টর জমিতে , ৫২ জাতের ১৫০ হেক্টর , ৫১ জাতের ১১৬০ হেক্টর , ৬২ জাতের ১৫০ হেক্টর , ৫৬ জাতের ১২৫ হেক্টর , ৩৪ জাতের ৩২০ হেক্টর , ৫৭ জাতের ২০ হেক্টর , বিনা ৭ জাতের ১৯৫০ হেক্টর ,স্বর্ণা ১৪ হাজার ৮১২ হেক্টর ,স্থানীয় জাতের ১২৬৪ হেক্টর জমিতে।

১৮১ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS