শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাগমারার হামিরকুৎসায় সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই পুকুর খননের হিড়িক

বাগমারার হামিরকুৎসায় সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই পুকুর খননের হিড়িক

নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারার হামিরকুৎসা ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে অবাধে রাতের আধারে চলছে ফসলী জমিতে পুকুর খননের হিড়িক। কৃষি জমিতে পুকুর খননের ফলে বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজর কৃষক। যত্রতত্র পুকুর খননে ফসলী জমি কমছে। এছাড়া বিল-খালে পুকুর খননে ফলে আবাদী জমিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসল উৎপাদন হচ্ছেনা। এলাকার প্রভাবশালীরা কৃষি জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করায় আবাদি জমির পরিমান কমে যাওয়ায় দিন দিন কমে যাচ্ছে উৎপাদন। এতে করে খাদ্য সংকট সৃস্টির আশংকায় এলাকার মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের কোনাবাড়ীয়া দক্ষিণ পাড়ায় তিন ফসলি জমিতে জোরপূর্বক অবৈধভাবে পুকুর খননের জন্য সকল প্রস্ততি নিয়ে দুটি ভেকু মেশিন নামায় স্থানীয় প্রভাবশী গ্রাম্য ডাঃ ইব্রাহিম হোসেন রতন খাঁসহ কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে আবাদি জমি গুলোতে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন অব্যাহত রাখলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নিরব ভুমিকা পালন করছেন। এতে কৃষি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে এবং চাষাবাদ হুমকীর মুখে পড়ছে।এখনে এস্কেভেটর ড্রেজার মেশিনের সংখ্যা দ্বীগুন হয়েছে,এবং ২টি ড্রেজার মেশিন চলে সন্ধ্যা লাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত। সারাদিন বন্ধ রেখে আবারো রাতে শুরু করা হয় অবৈধ পুকুর খননের কাজ। এতে বর্ষা মওসুমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়বে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার ফসলি জমি অনাবাদি এবং পাড়া-মহল্লার বাড়ি-ঘরে ডুকে পানি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকবে। অপরদিকে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে জমির প্রকৃতি (শ্রেণী) পরিবর্তন করা যাবে না।কিন্তু অবৈধ পুকুর খননকারি ইব্রাহিম হোসেন রতন উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে ফসলি জমিতে চালিয়ে যাচ্ছে হরদম পুকুর খনন। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহল ও কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

৩৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares