বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লোহাগড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ কোটি টাকার জমি দখল করেছে স্থানীয় ভুমি দূুস্যুরা

লোহাগড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ কোটি টাকার জমি দখল করেছে স্থানীয় ভুমি দূুস্যুরা

শরিফুল ইসলাম নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৩৭ নং কচুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭০ শতক জমি  দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে। স্কুলের বেদখল হওয়া জমির মুল্য আনুমানিক ৪ কোটি টাকা প্রায়।

 বুধবার (১মার্চ) সকালে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে , লোহাগড়া  উপজেলার  নবগঙ্গা নদীর দক্ষিন পাশে কচুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত।১১২ বছর পূর্বে শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে স্থানীয় হিন্দু শিক্ষানুরাগীদের  চেষ্টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছিল। তৎকালীন মাখন সমাদ্দার ও তার নিকট আত্মীয়রা বিদ্যালয়ে জমি দান করে ছিল। আর এস রেকর্ডীয় সুত্রে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের নামে ১ একর ৪ শতক জমি রেকর্ডভুক্ত আছে এবং হাল সন নাগাদ খাজনা পরিশোধ। ৯৬ নং কচুবাড়িয়া মৌজায় ২ নং আর এস খতিয়ানে মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শিক্ষা বিভাগ নড়াইলে মোট ৭ টি দাগে ১ একর ৪ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪৬ দাগে জমি ১২ শতক, ৫৫১ দাগে জমি ৪ শতক, ৭৫০ দাগে ১৪ শতক, ৭৬৫ দাগে ১৪ শতক, ১১৯৯ দাগে ৩৭ শতক, ১২০৪ দাগে ৬ শতক ও ১২০৬ দাগে ১৭ শতক। দখল বিষয়ক মন্বব্য কলামে কচুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয় ৩৪ শতক জমি দখলে আছে। বাকি জমি স্থানীয় ভুমি দস্যুরা দখল করে বাড়ি বানিয়ে বিক্রি করছে।   ১১৯৯ দাগ ৩৭ শতক জমি ভোগদখল করছেন  উপজেলার করফা গ্রামের রনি শেখ , লংকারচর গ্রামের তৈয়ব আলী, কচুবাড়িয়া গ্রামের লুৎফার হোসেনসহ আরো অনেকে ।

জমি দখলকারী লুৎফার রহমান বলেন,”আমি জমি ডাসেরডাংগা গ্রামের আমির ফকিরের নিকট থেকে  জমি কিনে নিয়েছি ৩শ টাকার ষ্টাম্পের মাধ্যমে। কিন্তু জমি রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে পারি নাই ”  বিদ্যালয়ের জমি বিক্রয়কারি আমীর ফকিরের সংগে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিথিলা রানী সাহা বলেন, আগামী সপ্তাহে মিটিং করে দেখবো, কি করা যায় ? ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি সুজিত কুমার ভদ্র বলেন, আমার বলার কিছু নাই। সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করবো।

এ ব্যাপারে লোহাগড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বর্মন বলেন” বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রধান শিক্ষককে বলেছি, লিখিত ভাবে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

৪৩ বার ভিউ হয়েছে
0Shares