বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মান্দায় ছিনতাইকারী চক্রের খপ্পরে অজ্ঞান অটোচালকের মৃত্যু 

মান্দায় ছিনতাইকারী চক্রের খপ্পরে অজ্ঞান অটোচালকের মৃত্যু 

 এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; মান্দা (নওগাঁ) : নওগাঁর মান্দায় ছিনতাইকারী এক চক্রের খপ্পরে পড়ে অজ্ঞান হওয়া অটোচার্জার চালক আনারুল ইসলাম (৪৫)  মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা নেয়নি  থানা পুলিশ।

নিহত আনারুল তিনি মৈনম ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আতাব আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি অটোচার্জারের চালক। ঈদের দিন মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মৈনম ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গা এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
নিহতের বাবা আতাব আলী মন্ডল জানান, ঈদের দিন বেশি ভাড়ার আশায় আটোচার্জার নিয়ে বিকেলের দিকে ছেলে আনারুল ইসলাম বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এলাকার লোকজন অচেতন অবস্থায় ছেলেকে বাড়ি নিয়ে আসেন। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে মান্দা হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৪টার দিকে আনারুল মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে সতিহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে কয়েক ব্যক্তি নওগাঁ সদর উপজেলার বটতলী বাজারে যাওয়ার কথা বলে আনারুলের চার্জারটি ভাড়া করেন। এরপর আনারুল ওইসব যাত্রীদের নিয়ে বটতলী বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তাদের ধারণা পথে তরল পানীয় সাথে চেতনানাশক জাতীয় কিছু খাইয়ে আটোচার্জারটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাই চক্রের সদস্যরা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুর্গাপুর গ্রামের ময়নুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সিংগীহাট থেকে বাইসাইকেল নিয়ে তিনি ওই রাস্তায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে শিয়ালডাঙ্গা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি অটোচার্জার দাঁড় করানো ছিল। পাশে কয়েকজন লোকও ছিলেন। এ সময় আটোচার্জারের চালক স্টীয়ারিং এর ওপর মাথা রেখে অচেতন অবস্থায় ছিলেন।
ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক বলে মনে হয়। তাই তিনি কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে একটি মোটরসাইকেল থামিয়ে ঘটনার বিষয়ে তাদের অবহিত করি। এ সময় ঈদ বিনোদনে বের হওয়া একটি পিকআপ ভ্যান সেখানে উপস্থিত হয়। পরে আমরা সবাই মিলে ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে অটোচার্জারের পাশে থাকা লোকজন অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।’
তিনি আরও বলেন, পরে মোবাইলফোনের আলোতে অটোচার্জারের চালক আনারুলকে চিনতে পেরে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি অবহিত হয়েছি। লাশের ময়নাতদন্ত রামেক হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তখন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS