শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দূর্ভোগ চরমে

তানোরে চলাচলের রাস্তায় বেড়া দূর্ভোগ চরমে

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে চলাচলের রাস্তায় বাঁশের খুটি ও নেট জাল দিয়ে ঘিরে অন্তত ১২ টি পরিবারকে ঘর বন্ধি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন( ইউপি)র বিহারইল গ্রামে ঘটে রয়েছে অমানুবিক এঘটনাটি। রাস্তা ঘেরার কারনে অন্তত ১২ টি পরিবার চরম বেকায়দায় পড়েছেন। এক এরশাদকে ঘর বন্ধি করতে গিয়ে এতগুলো পরিবারকে বেকায়দায় ফেলেছেন খালেক ও তার পুত্ররা। ফলে বেড়া না সরালে বাড়ি থেকে কোন ভাবেই বের হতে পারছেন না এরশাদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিহারইল গ্রামের মুল রাস্তার পশ্চিমে এরশাদ ও খালেক সহ অনেকের বসবাস। ঘটনাস্থল এরশাদের বাড়িতে যেতে মাটির কাদা রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। এরশাদের বাড়ি সংলগ্ন বাঁশের খুটি ও নিল কালারের নেট জাল দিয়ে বেড়ার মত ঘিরে দেন প্রতিবেশি আব্দুল খালেক, তার ছেলে আশরাফুল ওরফে মোংলা, সাফিউল ইসলাম সেন্টু ও তাদের স্ত্রীরা। বাড়ির বারান্দায় গালে হাত দিয়ে বসে ছিলেন এরশাদের স্ত্রী। যে জায়গায় বেড়া দেওয়া হয়েছে সেখানে হাটু পানি জমে আছে। এরশাাের বাড়ির পুর্বদিকে খালেকের বাড়ি। সম্পর্কে এরশাদের আপন চাচা খালেক।
গালে হাত দিয়েই এরশাদের স্ত্রী  কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, গত বুধবার সকালের দিকে খুটি পুতে ও দুপুরের আগে নেট জাল দিয়ে ঘিরে দেয়। তারপর থেকে বাড়ি থেকেই বের হতে পারিনি। আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে আরো ১২ টির মত পরিবার  যাতায়াত করেন। তারাও চলাচল করতে পারছেন না।
গ্রামের একাধিক ব্যক্তিরা জানান, জায়গাটি ভিপি,  সেখানে এভাবে বেড়া দিয়ে চলচলের রাস্তা বন্ধ করে অমানুবিক কাজ করেছেন। আক্রোশ মুলুক ভাবে এরশাদকে ঘর বন্ধি করতে গিয়ে সবার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন দুর দিয়ে চরম সমস্য নিয়ে যেতে হচ্ছে, যা অত্যান্ত কষ্টকর।
ভুক্তভোগী এরশাদ জানান, আমি চৌবাড়িয়া বাজারে চা বিস্কুটের ব্যবসা করছিলাম। গত বুধবারে হঠাৎ আমার আপন চাচা খালেক ও তার ছেলে এবং স্ত্রীরা মিলে ঘিরে দিয়েছেন। কোন বিবেকবান মানুষ এভাবে রাস্তা ঘিরতে পারে আমার জানা ছিল না। আর এমন ভাবে আমার বাড়ির সামনে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বের হওয়ার কোন উপায় নেই।
সেখানেই ছিলেন খালেকের স্ত্রী তিনি জানান, এরশাদের আপন চাচা আমার স্বামী। জমিজমা ও এই জায়গা নিয়ে বসেছিল কিন্তু এরশাদ তার চাচার কথা না শুনার কারনে ক্ষোভে একাজ করেছে।
খালেকের ছেলে আশরাফুল ওরফে মোংলা জানান, আমার পিতার সাথে কি হয়েছে বলতে পারব না। যে জায়গা ঘিরা হয়েছে সেটা নাকি ভিপি সম্পত্তি জানতে চাইলে তিনি জানান আমি এসব বলতে পারব না, সাক্ষাতে কথা বলা হবে।
কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন প্রামানিক জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে চলাচলের রাস্তা অবমুক্ত করা হবে।
৩৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares