শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তানোরে অসহায় মৎস্যজীবির ভেড়ীকে মেরে তিনটি বাচ্চা ও চোখ নষ্ট 

তানোরে অসহায় মৎস্যজীবির ভেড়ীকে মেরে তিনটি বাচ্চা ও চোখ নষ্ট 

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের অসহায় মৎস্যজীবি আব্দুল মজিদ ওরফে বিষুর ভেড়ীকে পিটিয়ে তিনটি বাচ্চা নষ্ট ও আরেকটি ভেড়ীর একটি চোখ অন্ধ করে দিয়েছেন সৃষ্টির সেরা জীব মানুষরুপী পশুরা বলে উভিযোগ উঠেছে। গত(২৯ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকেলে ভেড়ীকে পেটানো হয়, আর গভীর রাতে তিনটি বাচ্চা ও শুক্রবার বিকেলে চোখ নষ্ট হওয়ার ঘটনা গুলো ঘটে। বিষুর বাড়ি শেখ রাসেল মিনি স্ট্যাডিয়াম সংলগ্ন শিতলী পাড়া গ্রামে। সে কচিমুদ্দিন প্রমানিকের পুত্র। এঘটনায় বিষুর পরিবার চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে দরিদ্র বিষুর পরিবার কে সরকাবি ভাবে ভেড়ী দেওয়ার দাবি তুলেছেন গ্রামের মৎস্যজীবিরা।
জানা গেছে, তানোর পৌর ভবনের উত্তর পূর্ব ও শেখ রাসেল মিনি স্টাডিয়াম সংলগ্ন শীতলীপাড়া গ্রাম। এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ মৎস্যজীবি। কিন্তু গ্রামটির জনসাধারন যেমন দরিদ্র, ঠিক তেমনি অবহেলিত ও ঘন বসতি। এরই মধ্যে বিষু ঋন নিয়ে ভেড়া লালন পালন করেন। তার ছয়টির মত ভেড়া রয়েছে। এর মধ্যে একটি ভেড়ীর পেটে বাচ্চা ছিল।
বিষু অনেক কষ্টে বলেন, যে ভেড়ীর পেটে বাচ্চা ছিল।  বারো চৌদ্দ দিনের মধ্যে বাচ্চা হত। কিন্তু কে বা কারা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভেড়ীকে পেটায়। রাত্রি প্রায় সাড়ে ৭ টার পর থেকে ভেড়ী হেকচি তুলা শুরু করে, রাত্রি  ১২ টার দিকে ভেড়ী ছটপট করতে করতে থাকে। এক পর্যায়ে মৃত তিনটি বাচ্চা বেরিয়ে পড়ে।  কিন্ত পেটানোর জন্য বাচ্চাও মরে যায় এবং ফুল পড়ছিল না। পরদিন শুক্রবার বিকেলে পশু চিকিৎসক কে নিয়ে আসার পর ঔষুধ ইনজেকশন পুশ করার পর ফুল বের হয়। ওই সময় আরেকটি ভেড়ীর চোখে আঘাত করে নষ্ট করে দেয়া হয়। কারো সাথে কোন মারামারি কাটাকাটি নাই। আর আমার মত অসহায় ব্যক্তির এসব ক্ষতি করছে। তিনি অবশ্য কারো উপর দোষ দেন নি। বিষু আরো জানান স্ত্রী কোলের মেয়ে কাদতেই আছে। তারাই দেখাশোনা করেন। কি আর বলার আছে। তবে বাচ্চা মারা গেলেও ভেড়ী বেচে আছে এটাই গরীবের স্বান্তনা।
প্রতিবেশি একাধিক ব্যক্তিরা জানান, মানুষ হয়ে এভাবে পশুকে মারতে পারে এটা কোন ধরনের ঘটনা। গরীবের এসব সম্পদ। যারা এধরনের নোংরা  ঘৃনিত কাজ করেছে মহান আল্লাহ তাদের  যেন বিচার করেন এছাড়া তো গরীবের আর কি বলার আছে বলে সবাই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
১০৪ বার ভিউ হয়েছে
0Shares