শুক্রবার- ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৩৭

ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৩৭

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩৭ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে আরও দুই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩৭ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩০৬ জন ও ঢাকার বাইরে ১৩১ জন। বর্তমানে সারাদেশে ১ হাজার ৫২৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ১৮৩ জন ও ঢাকার বাইরে ৩৪৬ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৮৭৫ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ১৭ জন ও ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৮৫৮ জন। একই সময় সারাদেশে ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৮১৩ জন ও ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৪৮৫ জন।

গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ হাজার ২৬৫ জন ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৫ জন এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় মৃতদের দুজনই চট্টগ্রামের ও দুজনই নারী। নিহতরা হলেন- খুরশিদা বেগম (৭০) ও দিলারা বেগম রেশমি (৫০)। এদের মধ্যে খুরশিদ বেগম চমেক হাসপাতালে এবং দিলারা বেগম বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

এর আগে গত বুধবার রাতে আরেকজন রোগীর মৃত্যুর কথা জানান সিভিল সার্জন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে খুরশিদা বেগম চমেক হাসপাতালে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভর্তি হয়। চার দিন পর ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। অন্যদিকে দিলারা বেগম গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভর্তি হন বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে। তিনিও গত বুধবার রাতে মারা যান।

চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সাহেদা আখতার বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে বর্তমানে ২৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গত বুধবার দুপুরে ও রাতে ২ জনের মৃত্যু হয়। তাদের ডেঙ্গু ছাড়াও আগে থেকে হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ ছিল। এ ছাড়া ৬ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রস্তুতি জানতে সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ডেঙ্গু মোকাবিলার চেয়ে নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন।

৫৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares

COMMENTS