শনিবার- ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নজীরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বোচন শান্তিপুর্ন ভাবে সুসম্পন্ন

নজীরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বোচন শান্তিপুর্ন ভাবে সুসম্পন্ন

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ-  কিছু বিচ্ছন্ন ঘটনা ছাড়া কঠোর ও নজীরবিহীন নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বোচন শান্তিপুর্ন ভাবে শেষ হয়েছে। সকাল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া ভোট উৎসবে বাগড়া দেয়। ফলে ঘন্টা দুয়েক ছন্দ পতন ঘটে। অনেকে বৃষ্টি ভিজে ভোট দিতে দেখা গেছে। ইভিএম পদ্ধতি ভোট হওয়ায় ঝিনাইদ শহরের মানুষ এক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখি হয়।

প্রকমে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মাঝে সন্দেহ থাকলেও ভোট প্রদানের পর সেই ঘোর কেটে যায়। বেবি খাতুন ও হেনা বেগম নামে দুই ভোটার জানান, ইভিএমে তাদের ভোট দিতে কষ্ট হয়নি। সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা ইভিএম বুঝিয়ে দিলে সে মোতাবেক তারা পচ্ছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। এদিকে ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে ভিতরে বাইরে নজীরবিহীন নিরাপত্তা ছিল। বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা টহলে ছিল।

ভোট দিয়ে এসে ভোটারা জানান, রুমে রুমে অনেক প্রার্থীর এজেন্ট না থাকলেও কারচুপির কোন সুযোগ ছিল না। নিজের পচ্ছন্দের প্রতিকে ভোট দিতে পেরেছেন। উল্লেখ্য প্রায় সাড়ে ১১ বছর পর চলতি বছরের গত ১৫ জুন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগে নৌকা প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘ আইনী জটিলতা কাটিয়ে শেষে উচ্চ আদালত দ্রæত নির্বাচন করার নির্দেশ দিলে নির্বাচন কমিশন ১১ সেপ্টম্বর ভোট গ্রহনের দিন ধার্য্য করে। নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী মেয়রপদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।

এরা হলেন নৌকার প্রার্থী আব্দুল খালেক, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল (নারিকেল গাছ), মিজানুর রহমান মাসুম (মোবাইল প্রতিক) ও ইশা আন্দোলনের মাওলানা সিরাজুল ইসলামের হাত পাখা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভায় মোট ভোটার ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৪৪৬ জন ও নারী ভোটার ৪২ হাজার ২৪৯ জন। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য ৪৭টি কেন্দ্র্র ও ২৬৫টি বুথে ভোট গ্রহন করা হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ প্রার্থী ছাড়াও সাধরণ কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদে ১৯ জন প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ১৮ জন নির্বাহী ও ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও ৩’শ ৫৫ জন পুলিশ ও ৮’শ ১ জন আনসার নিয়োজিত ছিলেন। জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুস ছালেক সুষ্ঠ ভাবে ভোট সম্পন্ন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

৭৯ বার ভিউ হয়েছে
0Shares