বৃহস্পতিবার, ৯ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভোলার সাবেক শিক্ষা প্রকৌশলী নুরুননবীর দুর্নীতি বদলি হয়ে ধামাচাপার চেষ্টা

ভোলার সাবেক শিক্ষা প্রকৌশলী নুরুননবীর দুর্নীতি বদলি হয়ে ধামাচাপার চেষ্টা

৯৩ Views

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ নুরুননবীর বিরুদ্ধে কাজ না করেই শত শত কোটি টাকার বিল প্রদান এবং নিজের ঠিকাদার দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের নামাত্র কাজ করিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, জালাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করতে আওয়ামীলীগকে কোটি টাকা চাদা দেয়া, ১৫ বছরের কাজে নথিপত্র গায়েব, সাবেক সেতু, শিক্ষা, পল্লী উন্নয়ন, অর্থ, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দাপট দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বর্তমান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জালাল উদ্দিন চৌধুরীকে তার নিকট আতœীয় বলে তিনি ব্রাহ্মণ বাড়িয়া জেলার শিক্ষ প্রকৌশল অধিদপ্তরেরা মত ভাল জায়গায়(স্বপদে)প্রকৌশলী হিসেবে বদলি হতে পেরেছেন বলে প্রচার করছেন,তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তরিগরি করে তাকে ৮ ডিসেন্বর বদলি করে দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অফিস,ঠিকাদার, শিক্ষক ও স্থানীয়দের অবিযোগে জানা গেছে, প্রথম নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ নুরুন নবী ভোলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগদান করার পর থেকে অফিসকে আওয়ামী করন করেন। প্রতিটি প্রকল্পের শত শত কোটি টাকার কাজ না করেই শত শত কোটি টাকার বিল প্রদান এবং নিজের ঠিকাদার দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের নামাত্র কাজ করিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, প্রতি অর্থবছরে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান ও সংস্কারসহ বিভিন্ন কাজের দরপত্র করে কার্যাদেশ দেওয়ার ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার অগ্রিম বিল প্রদান করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার স্বজন ও সিন্ডিকেট তৈরী করে নিজেই অনেক কাজ বেনামে করে বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জালাই-আগষ্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করতে আওয়ামীলীগকে কোটি টাকা চাদা দিয়েছেন, গত ১৫ বছরের কাজে নথিপত্র গায়েব করে দিয়েছেন। ভোলা অফিস বা শিক্ষাপ্রকৌশল ওয়েব সাইডে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাবেক সেতু, শিক্ষা, পল্লী উন্নয়ন, অর্থ, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দাপট দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন। বর্তমান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জালাল উদ্দিন চৌধুরীকে তার নিকট আতœীয় বলে তিনি ব্রন্মন বাড়িয়ার শিক্ষ প্রকৌশল অধিদপ্তরেরা মত ভাল জায়গায় প্রকৌশলী হিসেবে বদলি হতে পেরেছেন বলে প্রচার করছেন, তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তরিগরি করে তাকে ৮ ডিসেন্বর বদলি করে দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন বলে লোকমুখে আলোচনার ঝড় বইছে। বর্তমানে চলমান প্রকল্প কয়টি এবং অগ্রগতি কতটুকু তারও কোন তথ্য দিতে পারেননি অফিসের কর্মকর্তারা। বর্তমানে বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলামকে ভোলার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে অতিরিক্ত দায়ীত্বে দিয়ে রেখেছেন। তার সাথে প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ভোলায় মাত্র অতিরিক্ত দায়ীতে রয়েছি, এসব বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা, কারন আমি মাত্র ১দিন অফিস করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে ভোলা থেকে গোপনে বিদায় নেয়া ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ নুরনবীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি চিপ স্যারের সামনে আছেন বলে ফোন কেটে দেন এবং তার হর্সএ্যাপে কয়েকবার ম্যাসেস দিয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
এ ব্যাপারে বরিশাল সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী বলরাম কুমার মন্ডলের ০১৭১১১৮৩৪৯৭ নং মুঠো ফোনে দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জালাল উদ্দিনের ০১৭১১১০১৬৬৭ নং মুঠো ফোনে একাধীকবার চেষ্টা করে তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

Share This