বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতে যে রূপরেখা তৈরী করেছেন তা জনগণ গ্রহণ করেছে
মিজানুর রহমান-ভোলা প্রতিনিধি: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় স্বাধীনতার মূল চেতনা-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার ভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন পথযাত্রায় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সারাদেশে জেলাভিত্তিক দিক-নির্দেশনামূলক যৌথ কর্মীসভা অংশ হিসেবে বুধবার (৪ ডিসেন্বর) বিকালে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ¦ গোলামনবী আলমগীরের বাসভবনের সামনের মাঠে- জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন।
যৌথ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক বলেন, শেখ হাসিনার পতন ছাত্র-জনতার বিজয়ের প্রথম অর্জন। এখন প্রশাসনের ভেতরে থাকা আওয়ামী লীগের জঞ্জাল পরিষ্কার করে প্রশাসনকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। ছাত্র-জনতার বিজয় ধরে রাখতে হলে রাজনৈতিক দলের সরকার গঠন করা অতিব জরুরি। মনের রাখতে হবে ক্ষমতা পেয়ে অহংকার করলে হবে না। কারণ শেখ হাসিনার অহংকারের কারণেই তাদের এই করুন পরিনতি হয়েছে।
এ সময় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন অপকৌশল করছে। এসব বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকবে হবে। অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। তাই পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তাদের তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতে যে রূপরেখা তৈরী করেছেন, তা জনগণ গ্রহণ করেছে। সেই আলোকে আমাদের কাজ করতে হবে।
এ সময় ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সকল শহীদদের প্রতি নিরবে ১ মিনিট দাড়িয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, নারী-শিশু, কৃষকসহ সবাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। অথচ পতনের দুদিন আগে শেখ হাসিনা বলেছিলে, শেখের বেটি পালিয়ে যায় না। শেখ হাসিনা খুনি, তার শরীরে রক্তের দাগ। দিনের ভোট রাতে করে, ডামি নির্বাচন করে উন্নয়নের নামে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। উপমহাদেশে তার মতো স্বৈরাচার নারী আর নেই। সে সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর নির্মমভাবে গুলি করে গণহত্যা চালিয়েছে। হেলিকাপ্টার থেকে গুলি করেছে। শেখ হাসিনা ছাড়া এর আগে কোনো সরকার প্রধান পালিয়ে যায়নি।
প্রধান বক্তা সেচ্ছা সেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন,এই দেশে আওয়ামী লীগ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। এখন দেশের মানুষকে গুপ্তহত্যা করবে। বর্তমানে তারা ভয়ংকর গুপ্ত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের সবাইকে সর্তক থাকবে হবে। যত হত্যাকান্ড হয়েছে সব কিছু বিচার হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শ্যামল মালস বলেন, সারাদেশে একদল উচ্ছৃঙ্খল মানুষ ধংসাত্মক কর্মকান্ড করছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কোনো ধংসাত্মক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয়। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আওয়ামীলীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম ও নিপীড়ন করেছে। কিন্তু বিএনপি এসব প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে না। বিএনপির নাম করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ৫ আগস্ট যারা গণভবনে গিয়েছিল, তারা কেউ বিএনপির নেতাকর্মী নান। সাধারণ মানুষ ক্ষোভের কারণে এসব হয়েছে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সরোয়ার ভুইয়া রুবেল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফারহান, নাফিবুর ইসলাম চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আঃ কাদের সেলিম, সেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি জামিল হোসেন ওয়াদুদ,সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত হাওলাদার আল আমিন প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন উপজেলার ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।