ভোলার ছেলে প্রকৌশলী জুলাই-আগষ্টে ঢাকায় গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি অংশগ্রহণ করায় ষ্টেন রিলিজ
মিজানুর রহমান-ভোলা : ভোলার ছেলে প্রকৌশলী ঢাকায় জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি অংশগ্রহণ করায় চাকরিস্থলে তাকে নানানভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, ভোলার নির্বাহ প্রকৌশলী,তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী ঠিকাদার নামধারী আওয়ামীলীগের ক্যাডারেরা। তাকে ১৭ অক্টোবর হঠাৎ কর্মস্থল থেকে বদলী করে ষ্টেন রিলিজ দিয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সোমবার জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরুন মোঃ মাসুম বিল্লাহ চাকুরীকে তোয়াক্কা না করে দেশের স্বার্থে ফ্যাসিষ্ট ও শৈ^রাচার অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে তিনি ঢাকায় গিয়ে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি অংশ গ্রহন করেন। ৫ আগষ্টের ছাত্র-জনতার চুরান্ত জয়ের পরে তিনি ভোলায় তার কর্মস্থলে যোগ দিলে তাকে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক, কর্মে এবং শারীরিক ভাবে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উধ্বর্তন কর্মকর্তা, ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য কোটি টাকা চাদা দান কারী, ভোলা জনস্বাস্থ্যের শত শত কোটি টাকা লুটকারী,আওয়ামীলীগের নেতারা-প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খা,বরিশালের তত্ত¡াবধায়ক-এস এম শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মাহমুদুর রহমান, বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো রইসুল ইসলাম, ষ্টীমিটার মিজানুর রহমান, ক্যাশিয়ার মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, অফিস সহকারী মোঃ মাহবুবুর রহমান, মেকানিক খলিলুর রহমান, ঠিকাদার মোঃ জসিম, লিটন চকিদার, জহির (পিস্তল), মোঃ বাবুল,মোঃ মুকুলসহ আরো অনেকে তাদের র্দুনীতি ও লুটপাটের ঘটনা চাপা দেয়ার জন্য, তাকে ভোলা থেকে বদলি করানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে গোপনে ভুয়া ভিত্তিহীন অভিযোগ করে প্রতিদিন তাকে মানুসিক, কর্মে ও শ^ারীরিক নির্যাতন করছেন। তার বিরুদ্ধে বেআইনি ও ভুয়া ঘটনার তদন্ত নামে কৈফিয়ত চেয়ে তাকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চষ্টা করেন। কারন তিনি ভোলা জেলার ৭ উপজেলার টিউব ওয়েল, পানির ট্যাংকি নির্মান, সমগ্রদেশ নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের পাইপ লাইনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে যে সব প্রকল্প করা হয়েছে তার হিংসভাগ কাজ না করে টাকা ভাগাভাগী করা হয়েছে এইসব বিষয়ে তিনি প্রতিবাদ করেছেন এবং তাকে দিয়ে জোর করে বিল ভাউচারে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। এখন তাকে ভাগে নিতে না পেরে ভয়ে অন্যত্র বদলী করে দিয়েছেন এবং তার অধীনে নলকূপ বরাদ্দ আছে এমন ভুয়া গুজব ছড়িয়ে অসংখ্য মানুষষের কাছে তাকে হেয় ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে শারীরিক ভাবে মার-ধরের মত একাধিক পরিস্থিতিতে ফেলেন।
অনুসন্ধ্যানে একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, ভোলায় ২০১৮ সালে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। সেই থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, তিনি শৈ^রাচার আওয়ামী বিরোধী, প্রায় তিনি অফিসের র্দুনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন, ছাত্র-জনতার আওয়ামী বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে তিনি ঢাকায় চলে যান, বিজয়ের পরে তার উপর নেমে এসেছে নির্যাতনের খরক। মূলত জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভোলা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম মাহামুদ রহমান ও সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সাবেক স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের দোষর গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহকে মেনে নিতে পারছেননা। কয়েকজন আওয়ামী ঠিকাদারও মাসুম বিল্লাহকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করছেন, ঠিকাদার ও যুবলীগের ক্যাডার জহির পিস্তল দিয়ে মাসুম বিরøাহকে মার-পিট করেছেন, তারা ভাবছিলেন আওয়ামীলীগ চিরদিনের জন্য ক্ষমতা কিনে নিয়েছেন। এজন্য তাকে কোন কারণ ছাড়াই একের পর এক হুমকি-ধামকি দিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি। তার বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ সাজিয়ে ১৭ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলার আসাশুনি উপজেলায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। এঘটনায় আমরা সুস্থ্য তদন্ত করে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতণ কর্মকর্তাদের শাস্তি ও বিচার দাবী করছি।
এবিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মাহমুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি চায়ের দাওয়াত দিয়ে দিয়েছেন।