ভোলার সাবেক ৪ এমপিসহ আ.লীগের ৪৮৬ জনের নামে থানায় মামলা
মিজানুর রহমান-ভোলা প্রতিনিধি ; ভোলায় ৫ মার্চ বিএনপির চেয়ার পার্সনের অবৈধ আটকাদেশ প্রত্যাহার ও তার মুক্তি, দেশে খাদ্য সামগ্রীরর উর্ধগতি মুল্যের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি আয়োজিত মহাজন পট্টি কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভায় আওয়ামীলীগ হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম, পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া, অফিসের আসবাবপত্র ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া ও আহতদেরকে চিকিৎসা করতে না দিয়ে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে আটকিয়ে রাখার ঘটনায় ভোলা মডেল থানায় প্রথম মামলা হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেন্বর) বিএনপির কর্মী মোঃ আরিফ হোসাইন বাদী হয়ে ৮৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪শ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৬, তারিখ-০২.১২.২০২৪ ইং। হামলায় নেতৃত্বদান কারী মামলায়-ভোলা-১ আসনের সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদ, ২ আসনের আলী আজম মুকুল, ৩ আসনের নুরুননবী শাওন, ৪ আসনের আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আঃ মমিন টুলু, ৫ পৌরসভার মেয়র, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী মোঃ আরিফ হোসাইন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অবৈধ আটকাদেশ প্রত্যাহার , তার মুক্তি, সারা বাংলাদেশে দ্রব্যমুল্য বৃদ্দির প্রতিবাদে ০৫.০৩.২০১৯ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় বিএনপির আয়োজনে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করে, আওয়ামীলীগের নেতারা জনবহুল বিএনপিকে কোন প্রকার প্রতিবাদ, সভাসমাবেশ করতে দেয়া যাবেনা, পুর্বে পরিকল্পনা করে রেখে ৫ মার্চ ৪-৫ শত আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো বগী দাও, এস এস পাইপ ও লাঠি নিয়ে অফিসের মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে জখম ও পিটিয়ে ১০/১২ জন নেতা-কর্মীর হাত-পা ভেঙ্গে দিয়ে অফিসের টিভি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের , বেগম খালেদা জিয়ার এবং বাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি এবং আসবাব পত্র ভাংচুর করে অনেক টাকার ক্ষতিসাধন করে। জখম ও হাত-পা ভাঙ্গা রোগীদের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি এবং থানা বা কোটেও মামলা নিতে দেননি। এখন বাদী আসামীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সুবিচার দাবী করে ভোলা সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাৎ মোঃ হাচইন পারভেজ মামলা গ্রহন করেছেন বলে জানিয়েছেন।