মঙ্গলবার- ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিষেধাজ্ঞা শেষ লাখো জেলে বুক ভরা আশা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে

নিষেধাজ্ঞা শেষ লাখো জেলে বুক ভরা আশা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে

টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর বুকভরা আশা নিয়ে সাগরে রওয়ানা দিয়েছে উপকূলীয় কয়েক লাখ জেলে। মৎস্য অধিদফতরের দেওয়া ২০ মে থেকে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শুক্রবার (২২ জুলাই)।
জেলেরা দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর ইলিশ শিকারের জন্য শুক্রবার গভীর রাতেই সমুদ্রে রওনা দিয়েছে। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ট্রলারে প্রয়োজনীয় বাজার সদাই নিয়ে তারা ছুটছে বঙ্গোপসাগরে। ইলিশ শিকারের জন্য বঙ্গোপসাগরের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে পারি দেওয়া জেলে মনির হোসেন, আফজাল, কালাম খাঁ, আবুল কালাম জানান, সব সমস্যা মোকাবেলার পর তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাচ্ছি। আশা করি সমুদ্রে অনেক মাছ মিলবে।
এর আগে ট্রলার মেরামতসহ রঙের কাজ শেষ করে ট্রলারে জাল তুলেছে জেলেরা। দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সব মিলিয়ে মহাখুশি উপকূলীয় লাখো জেলে। সংশ্লিষ্ট জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে এতদিন উপকূলে পড়েছিল মাছ ধরার ট্রলারগুলো। ফলে অনেক ট্রলারে পড়ে যায় মরিচা। তবে এবার সাগরে কাক্সিক্ষত মাছ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন তারা।
ট্রলার মালিক সেলিম আজাদ জানান, আমার সব ট্রলার মাছ ধরার জন্য সাগরে যেতে প্রস্তুত রয়েছে। সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। এ কারণে সাগরে মাছ বাড়বে। আশা করছি জেলেরা এখন বেশি মাছ নিয়ে ফিরবেন। তবে বেশ কয়েকজন ট্রলার মালিক আক্ষেপ করে বলেন, কষ্ট করে নিষেধাজ্ঞার সব নিয়ম আমরা পালন করেছি। অথচ অনেকেই প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সাগরে গিয়ে মাছ ধরেছে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় বর্তমানে বরগুনা জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৪৭ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জেলে রয়েছে পাথরঘাটা উপজেলায়। এখানে জেলের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৫০ জন। এ ছাড়া অনিবন্ধিত আরও কয়েক হাজার জেলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। তিনি আরও জানান তাদের আশা এবার আশানুরূপ মাছ শিকার করে জেলেরা তাদের পেছনের দেনা পাওনা শোধ করতে পারবে।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, বঙ্গোপসাগর এখন জেলেদের মাছ শিকারের জন্য উন্মুক্ত। ৬৫ দিন মৎস্য আহরণে বিরত থাকাকালীন অবস্থায় জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ হিসাবে ৮৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
১০৮ বার ভিউ হয়েছে
0Shares