শনিবার- ৬ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -২২শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সৈয়দপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি আমিনুল হক স্বরণে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল।  

সৈয়দপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি আমিনুল হক স্বরণে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল।  

দুলাল সরকার সৈয়দপুর নীলফামারী প্রতিনিধি  ;:  সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ২৮ শে জুন ( শুক্রবার) সকাল ১০ টায় সৈয়দপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি আমিনুল হক স্বরনে স্বরণ সভা অনুষ্টিত হয়।  এর আগে শহীদ আমিনুল হক বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
শহীদ পরিবারের সন্তান অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে ও শহীদ পরিবারের সদস্য মো তৈয়বুর রহমান তামিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও শহীদ আমিনুল হকের কনিষ্ঠ সন্তান মো মহসিনুল হক মহসিন।  আরো বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু,  উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইন্জি এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ,  বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা সালাউদ্দীন বেগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম ফজলুল হক,  শহীদ আয়েজ উদ্দীনের পুত্র শহীদ সন্তান সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু,  শহীদ ডা: এস এম ইয়াকুব এর কন্যা ইফফাত জামান পলি,  ১১ নং ওয়ার্ড সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সহ অনেকে।
শহীদ বুদ্ধিজীবি আমিনুল হকের স্বরনে স্মৃতি বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন সৈয়দপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ,পৌর আওয়ামীলীগ, রক্তধারা ৭১ সহ অনান্য সংগঠন।
উল্লেখ্য যে,  শহীদ আমিনুল হক এর পিতার নাম মরহুম ডাঃ শেখ জিয়ারৎ উল্লাহ আহমেদ, মাতা মরহুমা খমিরন নেছা চৌধুরানী। তিনি সৈয়দপুর নতুন বাবুপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সাংস্কৃতিক মনা মানুষ ছিলেন। ১৯৪৯ সালে তিনি পাকিস্থান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা কালীন সহ—সভপতি ছিলেন। ১৯৪৯ সালে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ৬ মাস কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে ৯ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত সৈয়দপুর পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি সৈয়দপুর থানা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি শিল্প সাহিত্য সংসদের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়াও নাট্যচক্রের সভাপতি ছিলেন। ইপরেলের প্রতিষ্টাকালীন সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অনেক অবদান ছিল। ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন নিজ টেপ রেকডারে ধারন করে পাড়া মহল্লায় বাজিয়ে জনসাধরনকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।  ১৯৭১ সালে ২৮ শে মার্চ বাড়ী থেকে খান সেনারা ধরে নিয়ে গিয়ে বন্দী করে এবং জুলুম নির্যাতন করতে থাকে। প্রতিদিন সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে ও গারোডাঙ্গী ব্রীজে বলদশ্রমে মাটিকাটার কাজে বাধ্য করতো। খাঁনসেনা জল্লাদ ফতে খাঁন চাবুক দিয়ে মারতে মারতে আধমরা করতো। এমন অবস্থায় একদিন ২৮ শে জুন ১৯৭১ সালে নিস্তেজ দেহ টাকে অবাঙ্গালীদের হাতে তুলে দেয়। ঐ দিনেই সৈয়দপুর পৌরসভার সামনে ভূলিয়া মারোয়ারীর গুদামে কুখ্যাত স্থানীয় রাজাকার উল্লাস করতে করতে নির্মমভাবে হত্যা করে, জীবন্ত অবস্থায় তার চোখ তুলে আঙ্গুল কেটে, কান কেটে, হাতের কবজি কেটে ৬ (ছয়) টুকরা করে হত্যা করে। হত্যার পূর্ব মুহুতেও তিনি স্বাধীনতা কামনা করে মৃত্যু বরণ করেন। এভাবে নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে হত্যার মধ্যে দিয়ে একজন খাঁটি দেশ প্রেমিকের জীবন প্রদীপ নিভে যায়।
১০০ বার ভিউ হয়েছে
0Shares