শার্শা উপজেলার ঐতিহাসিক সোনামুখির বিল এখন সোনালী ধান ও পদ্ম ফুলে ভরপুর


শার্শা (যশোর) থেকে আব্দুল মান্নান \ শার্শা উপজেলার ঐতিহাসিক সোনামুখির বিল এখন সোনালী ধান ও পদ্ম ফুলে ভরপুর। প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ্য বিস্তৃত এ সোনামুখি বিলে ঘন জঙ্গল, নল বাগান ও গভীরতার কারনে সাধারণ মানুষ কেউ প্রবেশ করতে পারতো না। জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র স্থপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি শহীদ জিয়াউর রহমান এঁর ঐকাতিক প্রচেষ্টায় খাল খননের ফলে সেখানে এখন সোনালী ধানে ভরপুর বিস্তৃত সোনামুখিল বিল। তারই মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে যশোরের শার্শার হরিনাপোতা গ্রামের পাশে সোনামুখি বিলের গোলাপি রঙের পদ্মফুল।“দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া ঘর থেকে শুধু দুপা ফেলিয়া।” ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক ভালোবাসার প্রতীক, ফুল ভালোবাসেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়ায় মুসকিল। তাই বাড়ির পাশে ফোঁটা গোলাপি পদ্মের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাশু নারী ও পুরুষ। এখন বৈশাখ মাস তাই সোনামুখি বিলে পানি নেই, অথচ কাদামাটিতে ফুটে আছে লাখো লাখো পদ্মফুল, দেশীয় পাখির কলকাকলীতে মুখরিত চারি দিক। এমন দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে ব্যাস্ত এই বিলে বেড়াতে আসা প্রতিটি মানুষ,কেউ মোবাইল দিয়ে আবার কেউবা দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে। কেউ কেউ টিকটকও করছেন, অনেক মুখ পরিচিতি ইউটিবারও আসেছেন এই বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কন্টেন্ট তৈরি করতে। বিশিষ্ট ইউটিবার রানা আহমেদ বলেন আমি গোলাপি পদ্মের সংবাদ পেয়ে এই প্রথম বার এখানে এলাম, আশার পরে দেখি যা ধারণা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি পদ্ম ফুল। একটা বিষয় আমাকে খুবই অবাক করেছে, পানি ছাড়া এমন লাখো পদ্ম ফুল কিভাবে ফুটলো? জায়গাটা এতটাই নিরিবিলি এতটাই সুন্দর আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক, বিশেষ করে মানুষের বিরুপ আচারণের ফলে অপরুপ গ্রাম বাংলার রুপ হারাতে বসেছি আমরা। তাই আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচিৎ যেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের বিরুপ আচারণে বিলুপ্ত হয়ে না যায়।