ভোলা সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস ফিরে পেলেন ৭ বছর পর
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা সদর সাব-রেজিষ্ট্রিী অফিস ৭ বছর ৩ মাস পরে ফিরে পেয়েছেন অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দলিল লিখকেরা। সোমবার (৬ জানুয়ারী) থেকে অফিসের কার্যক্রম শুরু হলে সবার মাঝে প্রান চাঞ্চল্য ফিরে আশে। সরগরম হয়ে উঠে অফিস পাড়া ও তার আসপাশ।
অফিস সুত্রে জানা গেছে, সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ভোলা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পানের আড়ত সংলগ্ন সাবরেজিষ্ট্রী অফিসে সাবেক কাউন্সিলর শামীম, তার ভাই, সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের ভাগ্নে, ভাগ্নী জামাই, স্বজন ও আওয়ামীলীগের ক্যাডারদের চাদাবাজি, ছিনতাই ও বিভিন্ন অত্যাচারে নিরাপত্তাহীন হয়ে পরেন অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারী, দলিল লিখক, দাতা ও গ্রহীতারা। তাদের চাহিদা মত চাদা না পেলে-টাকা ও দলিল ছিনতাই, ষ্টাফ ও দলিল লিখকদের মার পিট, অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। আওয়ামীলীগের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি তোফায়েল আহমেদও নিয়ন্ত্রন করতে পারেননি তার স্বজনদের। এক পর্যায়ে সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী ও দলিল লিখকেরা পালিয়ে যান ২০১৮ সালে। পরে তৎকালের জেলা প্রশাসক সদর উপজেলা চত্বরের পুরাতন পরিত্যাক্ত ভবনে সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস ও দলিল লিখকদেরকে কাজ করার অনুরোধ করলে তারা সেখানে বিভিন্ন প্রতিকুলথার মধ্যে দিয়ে অফিস করেন। সেখানেও দলিল দাতা ও গ্রহীতা পুরুষ-মহিলাদের নানান র্র্দূভোগ পোহাতে হয়েছে। সরকারের পটপরিবর্তনের পরে ৭ বছর ৩ মাস পরে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দলিল লিখকেরা নিজস্ব অফিস ফিরে পেয়েছেন। নিজস্ব অফিসে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন বলে জানান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
দলিল লিখক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ মোলেছুর রহমান জানান, সরকারের রাজস্ব আয়ের মধ্যে রেজিস্ট্রী অফিসও একটি গুরুত্ব পুর্ন। ৭ বছর আগে চাদাবাজ ও প্রভাবশালী নেতাদের আতœীয়দের অত্যাচারে আমরা অফিস ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বনের মধ্যে অফিস করেছে, সেখানে বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যে অফিস করতে হয়েছে, দলিল দাতা গ্রহীতা নারী-পুরুষেরা অবর্ননীয় র্দূভোগ করেছে। আমরা আমাদের ভবনে আসতে পেরে খুশী এবং স্বধীন ভাবে কাজ কর্মকরতে পারছি। আমরা আর কোন অত্যাচারী আমরা দেখতে চাইনা। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ থাকবে রাজস্ব আয়ের এই সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের প্রতি যেন একটু নজর রাখা হয়।