সেনবাগের বর যাত্রীর ওপর হামলা শিশু,নারী সহ আহত ৮জন : ৮ভরি স্বর্ণালকার ও ৪টি মোবাইলফোন লুট
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শায়েস্তানগরী নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউপির কেশারপাড় গ্রামের পূর্ব বিরোধের জেরে বর যাত্রীর ওপর হামলা লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে সাবেক শ্বশুড়,শাশুড়ী,সালা ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে। ওই হামলা ও লুটপপাটের ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুর ১টারদিকে উপজেলা কেশারপাড় দিঘীর পাড় নামকস্থানে। এঘটনায় সেনবাগ হাসপাতাল বরের বড় ভাই শাহপরান প্রকাশ বাবু (৩৭), তার স্ত্রী পপি আক্তার (২২)কে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ ও রাহেলা আক্তার প্রকাশ মুন্নি (২৮) ছাতারপাইয়ার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া ৫জনকে। আহত অন্যরা হচ্ছে ঃ বর মোঃ রুবেল (৩৪) শিশু আরিয়ান (৭) শাহিনুর (৭ মাস) কেয়া আক্তার (১৭) বৃষ্ট (১৮)।
জানাগেছে উপজেলার কেশাড়পাড় ইউপির মতিন চৌকিদারের বাড়ি এমাম হোসেন (৪৫) এর মেয়ে নার্গিস আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় উপজেলা কেশাড়পাড় ইউপির এছাহাক মিয়ার বাড়ি সিরাজুল ইসলামের ছেলে ওমান প্রবাসী রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর রুবেল প্রবাসে চলে গেলে স্ত্রী আত্মহত্যা করে।
এরপর রুবেল সম্প্রতি দেশে এসে বিয়ে করার জন্য পাত্রী খোঁজাখুজি শুরু করলে প্রথম শ্বশুড় তার ছোট মেয়ে রুবেলে শালিকাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে সে প্রস্তাব পিরিয়ে দেওয়া হয়। এবং রুবেল গত বৃহস্পতিবার ২জানুয়ারী একই গ্রামের পাশ্ববর্তী খালেক পুলিশের বাড়ির মোঃ তাজুল ইসলাম প্রকাশ বাবুলের মেয়েকে বিবাহ করে। রবিবার দুপুরে নতুন বর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নতুন শ্বশুড় বাড়িতে পিরানীর দাওয়াত খেতে রওয়ানা দিলে সাবেক স্ত্রীর পিতা শ্বশুড় এমাম হোসেন (৪৫) শাশুড়ী জরিনা বেগম (৩৮)শালিকা ফাতেমা আক্তার (১৬) ,ভাগিনা মহসিন (২০) দাদি শাশুড়ী খোদেজা বেগম(৬০),ফুফু শাশুড়ী রারেযার খাতুন (৪৫)অর্তিকিতে হামলা চালিয়ে নতুন বর, তার ভাই ভাবি, ভাতিজা,সহ ৮ জনকরে আহত করে পিরানীর বর যাত্রীর শরীরে থাকা ৮ ভরি স্বার্ণালংকার, ৪টি মোবাইলফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত এমাম হোসেন যোগাযোগ করলে তিনি জানান তার মেয়ের সাবেক স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা নতুন শ্শুড় বাড়িতে যাবার সময় তার মেয়েকে লক্ষ্য করে গালমন্দ করলে এনিয়ে কথাকাটা হয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে তারা মাটিয়ে পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এসএম মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাপযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।