বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গোলাপগঞ্জে প্রতিপক্ষের মামলার স্বাক্ষী ও বাদীকে হত্যার হুমকি

গোলাপগঞ্জে প্রতিপক্ষের মামলার স্বাক্ষী ও বাদীকে হত্যার হুমকি

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জে চাঁদাবাজি মামলার ঘটনায় জামিনে থাকা আসামীরা বাদীর স্বাক্ষীকে স্বাক্ষী না দিতে ও বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার বিকালে বাদীর ছোট ভাই (আত্বীয়) উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে জাকারিয়া হোসেন (২৪) ও বাদী জালাল উদ্দীন এ অভিযোগ করেন।

এতে ভুক্তভোগী বাদি ও তাহার আত্বীয় জাকারিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বিবাদী মৃত সুরমান আলী জামাল মিয়া (৪২), দিলসু মিয়া (২৮), সোনাব আলী (৩৫), আলতাফ আলী(৪৫), মনা মিয়া (৪০), আদালত হইতে জামিনে আসিয়া আমাকে সাক্ষী না দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন সহ রাস্তাঘাটে পাইলে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। গত ১৫ মার্চ ২০২৩ইং বিকাল ৩ টার সময় আমি বিবাদীদের বসত বাড়ির সম্মুখে আমাদের জায়গার ক্ষেত দেখতে গেলে বিবাদীগণ আমাকে দেখিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারপিট করার হুমকি দেয়। এবং তাহাদের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দিতে গেলে তারা আমাকে খুন করিয়া ফেলিবে। এবং মামলার বাদী জালাল আহমদ ভাইকেও তাহারা খুন করার হুমকি দেয়। বিবাদীদের হুমকির ফলে স্বাক্ষী জাকারিয়া নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি এবং আদালতে গিয়ে সাক্ষী দিতে ভয় পাইতেছি। তিনি (বাদীর আত্বীয়) জাকারিয়া আরও করে বলেন, আসামীরা জামিনে বাইরে থাকলে যেকোন সময় তারা আমাকে মেরে ফেলতে পারে বলে আশংকা করছি। তাই তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য চান তারা উভয়ে।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভুক্তোভোগী জালাল জানান, বিবাদীরা এক সময় আমার বর্গাচাষি ছিল। গত কয়েকদিন আগে তাদের সম্মুখে আমার জমির সীমানায় পাকাপিলারের সাথে কাঁটা তার টেনে আসি। পরের দিন গিয়ে দেখি (মামলা নং- ২/৫৮, তাং- ০৩/০৩/২০২৩ইং) মামলায় বর্ণিত আসামীরা দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে আমাকে আহত করে। এসময় আমার মোবাইল ফোন আইপোন১১ যাহার মূল্য অনুমান ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, প্যান্টের পকেট হইতে ৫০,০০০/- টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। আমার নির্মিত পিলারের কাঁটা তারের বেড়া ভেঙ্গে প্রায় ৯৩,০০০/- (তিরানব্বই হাজার) টাকা ক্ষতিসাধন করে। এখন আমার স্বাক্ষীকে স্বাক্ষী না দিতে এবং আমাকে মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

আমুড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার কুটি বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে আমিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মুখে জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছি। এতে কাহারো কোন ওজর আপত্তি শুনি নাই।আমার মনে হয় বিষয়টি জায়গা সক্রান্ত নয়।এর ভিতরে অন্য কিছু আছে।

এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,অভিযোগ পেলে আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।

৪৭ বার ভিউ হয়েছে
0Shares