বৃহস্পতিবার- ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ -১৩ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শার্শায় পেশি শক্তি দেখিয়ে চলমান গভির নলকূপ বন্ধ করে ২০০ ফুটের মধ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন

শার্শায় পেশি শক্তি দেখিয়ে চলমান গভির নলকূপ বন্ধ করে ২০০ ফুটের মধ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরের শার্শায় সেচ নীতিমালা ভঙ্গ করে পেশি শক্তি দেখিয়ে চলমান গভির নলকূপ বন্ধ করে ২০০ ফুটের মধ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে বালুন্ডা গ্রামের গ্রাম্য দূরবৃত্ত শাহাজুল আউলিয়া ও কামাল হোসেন আউলিয়া।

১০৭নং বালুন্ডা মৌজার আরএস ৮৮৬ খতিয়ানের ৪৬২০ দাগের ২২ শতক জমির উপর ২০ বছর পূর্বে গভির নলকূপ স্থাপন করে শান্তি সৃঙখলা বজায় রেখে বিভিন্ন মৌসুমে চাষআবাদ করে আসছেন বালুন্ডা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র শফিকুর রহমান। নিজের ও ভাইদের ৪৫ বিঘা জমিসহ গ্রামের অন্যান্য প্রান্তিক চাষিদের প্রায় ১১০ বিঘা জমিতে ব্যোরো আবাদ সহ আউষ আমন সহ অন্যান্য ফসলাদির চাষাবাদ সেচ কার্য পরিচালনা করে আসেছে। একই গ্রামের দূরবৃত্ত¡ মৃত শের আলীর পুত্র কামাল হোসেন আউলিয়া ও তার পুত্র শাহাজুল আউলিয়া পেশি শক্তির প্রভাবে গত ১৯/০৬/২০২২ দক্ষিণ পশ্চিম কোনে ২০০০ ফুটের পরির্বতে ২০০ ফুটরে মধ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করে বর্তমানে সেচ কার্য পরিচালনা করছে।

এছাড়া এলাকার চিহ্নিত দূরবৃত্ত¡রা আইনের প্রতিবৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পূর্বে স্থাপিত গভীর নলকূপের মালিক শফিকুর রহমানের ব্লকের নিজের জমি সহ সাধারণ কৃষকদের জমিতে বাধ্যতা মূলক সেচ কার্য পরিচালনা করছে। সাধারণ চাষিরা শাহাজুল আউলিয়া ও কামাল আউলিয়ার মালিকানাধিন গভীর নলকূপ থেকে ব্যোরো চাষের সেচের পানি নিতে চাইনি অনেকেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রান্তিক চাষি জানিয়েছেন আমাদেরকে হুমকি ধামকি ও ভয় ভিতি দেখানর কারণে আমরা তার সেচের পানি নিতে বাধ্য। তবে শফিকুর রহমানের মালিকানাধিন গভরি নলকূপটি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ শাহাজুল আউলিয়া ও কামাল আউলিয়া। ২০ বছর পূর্বে শফিকুর রহমানের দ্বারা নির্মিত প্রতিটি পানির ড্রেন প্রতিপক্ষরাই জোর পূর্বক ব্যবহার করছে। যা আইন সৃংখলা হুমকির মুখে। আইন গত অধিকার ও তার প্রতিকার চেয়ে গত ২১-০৬-২২ তরিখে শার্শা সহকারী জজ আদালত যশোর এ স্থায়ী নিশেধাজ্ঞা, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সেচ কমিটি কতৃক লাইসেন্স প্রদান না কারর জন্য শফিকুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেছেন। যাহার নং- ১৪৬/২২। এলাকার সাধারণ চাষিদের অভিযোগ স্থানীয় প্রশাষন কর্তৃক সঠিক তদন্ত করে ব্যাবস্থা না নিলে যে কোন সময় আইন সৃংখলা চরম অবনতি হতে পারে। এ ব্যাপারে পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার সরদার এ প্রতিনিধিকে জানান ঘটনাটি আমি জানি এবং বিষটি নিস্পত্তি করার জন্য কয়েক দফায় মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু কোন পক্ষই এগিযে আসেনি।

১৫৬ বার ভিউ হয়েছে
0Shares